Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
কালমৃগয়া - পঞ্চম দৃশ্য, ১১
কালমৃগয়া
তাও যে দেখি কেবল ফাঁকি!
শিকারীগণের প্রবেশ
শংকরা
শিকারীগণ। ঠাকুরমশয়, দেরি না সয়–
তোমার আশায় সবাই ব’সে।
শিকারেতে হবে যেতে,
মিহি কোমর বাঁধ ক’ষে!
বন বাদাড় সব ঘেঁটেঘুঁটে,
আমরা মরি খেটেখুটে,
তুমি কেবল লুটেপুটে
পেট পোরাবে ঠেসেঠুসে!
শিকারেতে হবে যেতে,
মিহি কোমর বাঁধ ক’ষে!
বন বাদাড় সব ঘেঁটেঘুঁটে,
আমরা মরি খেটেখুটে,
তুমি কেবল লুটেপুটে
পেট পোরাবে ঠেসেঠুসে!
বিদূষক। কাজ কি খেয়ে, তোফা আছি–
আমায় কেউ না খেলেই বাঁচি!
শিকার করতে যায় কে মরতে–
ঢুঁসিয়ে দেবে বরা’ মোষে!
ঢুঁ খেয়ে তো পেট ভরে না,
সাধের পেটটি যাবে ফেঁসে।
শিকার করতে যায় কে মরতে–
ঢুঁসিয়ে দেবে বরা’ মোষে!
ঢুঁ খেয়ে তো পেট ভরে না,
সাধের পেটটি যাবে ফেঁসে।
[হাসিতে হাসিতে শিকারীগণের প্রস্থান
মিশ্র সিন্ধু
বিদূষক। আঃ, বেঁচেছি এখন!
শর্ম্মা ও দিকে আর নন।
গোলেমালে ফাঁকতালে সটকেছি কেমন।
বাবা! দেখে বরা’র দাঁতের পাটি
লেগেছিল দাঁত-কপাটি,
পড়ল খ’সে হাতের লাঠি
কে জানে কখন।
চুলগুলা সব ঘাড়ে খাড়া,
চক্ষুদুটো মশাল-পারা,
গোলেমালে ফাঁকতালে সটকেছি কেমন।
বাবা! দেখে বরা’র দাঁতের পাটি
লেগেছিল দাঁত-কপাটি,
পড়ল খ’সে হাতের লাঠি
কে জানে কখন।
চুলগুলা সব ঘাড়ে খাড়া,
চক্ষুদুটো মশাল-পারা,