Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
চৈতালি - নদীযাত্রা
নদীযাত্রা
চলেছে তরণী মোর শান্ত বায়ুভরে।
প্রভাতের শুভ্র মেঘ দিগন্তশিয়রে।
বরষার ভরা নদী তৃপ্ত শিশুপ্রায়
নিস্তরঙ্গ পুষ্ট-অঙ্গ নিঃশব্দে ঘুমায়।
দুই কূলে স্তব্ধ ক্ষেত্র শ্যামশস্যে ভরা,
আলস্যমন্থর যেন পূর্ণগর্ভা ধরা।
আজি সর্ব জলস্থল কেন এত স্থির?
নদীতে না হেরি তরী, জনশূন্য তীর।
পরিপূর্ণ ধরা-মাঝে বসিয়া একাকী
চিরপুরাতন মৃত্যু আজি ম্লান-আঁখি
সেজেছে সুন্দর বেশে, কেশে মেঘভার,
পড়েছে মলিন আলো ললাটে তাহার।
গুঞ্জরিয়া গাহিতেছে সকরুণ তানে,
ভুলায়ে নিতেছে মোর উতলা পরানে।
প্রভাতের শুভ্র মেঘ দিগন্তশিয়রে।
বরষার ভরা নদী তৃপ্ত শিশুপ্রায়
নিস্তরঙ্গ পুষ্ট-অঙ্গ নিঃশব্দে ঘুমায়।
দুই কূলে স্তব্ধ ক্ষেত্র শ্যামশস্যে ভরা,
আলস্যমন্থর যেন পূর্ণগর্ভা ধরা।
আজি সর্ব জলস্থল কেন এত স্থির?
নদীতে না হেরি তরী, জনশূন্য তীর।
পরিপূর্ণ ধরা-মাঝে বসিয়া একাকী
চিরপুরাতন মৃত্যু আজি ম্লান-আঁখি
সেজেছে সুন্দর বেশে, কেশে মেঘভার,
পড়েছে মলিন আলো ললাটে তাহার।
গুঞ্জরিয়া গাহিতেছে সকরুণ তানে,
ভুলায়ে নিতেছে মোর উতলা পরানে।