মেখলাতে দুলিয়ে দিত
নবনীপের মালা।
ধারাযন্ত্রে স্নানের শেষে
ধূপের ধোঁয়া দিত কেশে,
লোধ্রফুলের শুভ্র রেণু
মাখত মুখে বালা।
কালাগুরুর গুরু গন্ধ
লেগে থাকত সাজে,
কুরবকের পরত মালা
কালো কেশের মাঝে।
কুঙ্কুমেরই পত্রলেখায়
বক্ষ রইত ঢাকা,
আঁচলখানির প্রান্তটিতে
হংসমিথুন আঁকা।
বিরহেতে আষাঢ় মাসে
চেয়ে রইত বঁধুর আশে,
একটি করে পূজার পুষ্পে
দিন গনিত ব'সে।
বক্ষে তুলে বীণাখানি
গান গাহিতে ভুলত বাণী,
রুক্ষ অলক অশ্রুচোখে
পড়ত খসে খসে।
মিলন - রাতে বাজত পায়ে
নূপুর - দুটি বাঁকা,
কুঙ্কুমেরই পত্রলেখায়
বক্ষ রইত ঢাকা।