Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
বাল্মীকিপ্রতিভা - তৃতীয় দৃশ্য, ৮
বাল্মীকিপ্রতিভা
তৃতীয় দৃশ্য
অরণ্য
অরণ্য
বাল্মীকি
বাল্মীকি। ব্যাকুল হয়ে বনে বনে
ভ্রমি একেলা শূন্যমনে।
কে পুরাবে মোর কাতর প্রাণ,
জুড়াবে হিয়া সুধাবরিষণে!
ভ্রমি একেলা শূন্যমনে।
কে পুরাবে মোর কাতর প্রাণ,
জুড়াবে হিয়া সুধাবরিষণে!
[প্রস্থান
দস্যুগণ বালিকাকে পুর্নবার ধরিয়া আনিয়া
ছাড়ব না ভাই, ছাড়ব না ভাই,
এমন শিকার ছাড়ব না।
হাতের কাছে অম্নি এল,অম্নি যাবে!
অম্নি যেতে দেবে কে রে!
রাজাটা খেপেছে রে,তার কথা আর মানব না।
আজ রাতে ধুম হবে ভারি,
নিয়ে আয় কারণ বারি,
জ্বেলে দে মশালগুলো,মনের মতন পুজো দেব—
নেচে নেচে ঘুরে ঘুরে— রাজাটা খেপেছে রে,
তার কথা আর মানব না।
এমন শিকার ছাড়ব না।
হাতের কাছে অম্নি এল,অম্নি যাবে!
অম্নি যেতে দেবে কে রে!
রাজাটা খেপেছে রে,তার কথা আর মানব না।
আজ রাতে ধুম হবে ভারি,
নিয়ে আয় কারণ বারি,
জ্বেলে দে মশালগুলো,মনের মতন পুজো দেব—
নেচে নেচে ঘুরে ঘুরে— রাজাটা খেপেছে রে,
তার কথা আর মানব না।
প্রথম দস্যু। রাজা মহারাজা কে জানে,আমিই রাজাধিরাজ।
তুমি উজির,কোতোয়াল তুমি,
ওই ছোঁড়াগুলো বরকন্দাজ।
যত-সব কুঁড়ে আছে ঠাঁই জুড়ে,
কাজের বেলায় বুদ্ধি যায় উড়ে।
পা ধোবার জল নিয়ে আয় ঝট্,
কর্ তোরা সব যে যার কাজ।
দ্বিতীয় দস্যু। আছে তোমার বিদ্যে-সাধ্যি জানা।
রাজত্ব করা এ কি তামাশা পেয়েছ!
প্রথম দস্যু। জানিস না কেটা আমি!
দ্বিতীয় দস্যু। ঢের ঢের জানি— ঢের ঢের জানি।
তুমি উজির,কোতোয়াল তুমি,
ওই ছোঁড়াগুলো বরকন্দাজ।
যত-সব কুঁড়ে আছে ঠাঁই জুড়ে,
কাজের বেলায় বুদ্ধি যায় উড়ে।
পা ধোবার জল নিয়ে আয় ঝট্,
কর্ তোরা সব যে যার কাজ।
দ্বিতীয় দস্যু। আছে তোমার বিদ্যে-সাধ্যি জানা।
রাজত্ব করা এ কি তামাশা পেয়েছ!
প্রথম দস্যু। জানিস না কেটা আমি!
দ্বিতীয় দস্যু। ঢের ঢের জানি— ঢের ঢের জানি।