Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
ক্ষণিকা - মাতাল, ১
মাতাল
ওরে মাতাল, দুয়ার ভেঙেদিয়ে
পথেই যদি করিস মাতামাতি,
থলিঝুলি উজাড় করে ফেলে
যা আছে তোর ফুরাস রাতারাতি,
অশ্লেষাতে যাত্রা করে শুরু
পাঁজিপুঁথি করিস পরিহাস,
অকারণে অকাজ লয়ে ঘাড়ে
অসময়ে অপথ দিয়ে যাস,
হালের দড়ি নিজের হাতে কেটে
পালের ‘পরে লাগাস ঝোড়ো হাওয়া,
আমিও ভাই, তোদের ব্রত লব
মাতাল হয়ে পাতাল - পানে ধাওয়া।
পাড়ার যত জ্ঞানীগুণীর সাথে
নষ্ট হল দিনের পর দিন—
অনেক শিখে পক্ব হল মাথা
অনেক দেখে দৃষ্টি হল ক্ষীণ,
কত কালের কত মন্দ ভালো
বসে বসে কেবল জমা করি,
ফেলাছড়া - ভাঙাছেঁড়ার বোঝা
বুকের মাঝে উঠছে ভরি ভরি,
গুঁড়িয়ে সে - সব উড়িয়ে ফেলে দিক
দিক্ - বিদিকে তোদের ঝোড়ো হাওয়া।
বুঝেছি ভাই, সুখের মধ্যে সুখ
মাতাল হয়ে পাতাল - পানে ধাওয়া।
হোক রে সিধা কুটিল দ্বিধা যত,
নেশায় মোরে করুক দিশাহারা,
পথেই যদি করিস মাতামাতি,
থলিঝুলি উজাড় করে ফেলে
যা আছে তোর ফুরাস রাতারাতি,
অশ্লেষাতে যাত্রা করে শুরু
পাঁজিপুঁথি করিস পরিহাস,
অকারণে অকাজ লয়ে ঘাড়ে
অসময়ে অপথ দিয়ে যাস,
হালের দড়ি নিজের হাতে কেটে
পালের ‘পরে লাগাস ঝোড়ো হাওয়া,
আমিও ভাই, তোদের ব্রত লব
মাতাল হয়ে পাতাল - পানে ধাওয়া।
পাড়ার যত জ্ঞানীগুণীর সাথে
নষ্ট হল দিনের পর দিন—
অনেক শিখে পক্ব হল মাথা
অনেক দেখে দৃষ্টি হল ক্ষীণ,
কত কালের কত মন্দ ভালো
বসে বসে কেবল জমা করি,
ফেলাছড়া - ভাঙাছেঁড়ার বোঝা
বুকের মাঝে উঠছে ভরি ভরি,
গুঁড়িয়ে সে - সব উড়িয়ে ফেলে দিক
দিক্ - বিদিকে তোদের ঝোড়ো হাওয়া।
বুঝেছি ভাই, সুখের মধ্যে সুখ
মাতাল হয়ে পাতাল - পানে ধাওয়া।
হোক রে সিধা কুটিল দ্বিধা যত,
নেশায় মোরে করুক দিশাহারা,