বিবাগী স্বপনপাখি চলিয়াছে ধেয়ে।
অথবা–
টুক্রো যেন মানিকের রেখা।
এতেও কানের সম্মতি আছে।
দিক্-ভ্রান্ত মরে পথ খুঁজি।
আপত্তির বিশেষ কারণ নেই।
নক্ষত্রের আঙিনায় টলিয়া পড়িল অসংগত।
এও চলে। একের নজিরে অন্যের প্রামাণ্য ঘোচে না।
১. রচনাবলীর বর্তমান খন্ডে ‘ছন্দের হসন্ত হলন্ত’ প্রবন্ধ এবং গ্রন্থপরিচয় দ্রষ্টব্য।
কিন্তু, যাঁরা এ নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁরা একটা কথা বোধ হয় সম্পূর্ণ মনে রাখছেন না যে, সব দৃষ্টান্তগুলিই পয়ারজাতীয় ছন্দের। আর এ কথা বলাই বাহুল্য যে, এই ছন্দ যুক্তধ্বনি ও অযুক্তধ্বনি উভয়কেই বিনা পক্ষপাতে একমাত্রারূপে ব্যবহার করবার সনাতন অধিকার পেয়েছে। আবার যুক্তধ্বনিকে দুই ভাগে বিশ্লিষ্ট করে তাকে দুই মাত্রায় ব্যবহার করার স্বাধীনতা সে যে দাবি করতে পারে না তাও নয়।
যাকে আমি অসম বা বিষমমাত্রার ছন্দ বলি যুক্তধ্বনির বাছবিচার তাদেরই এলাকায়।
কিংবা–
তৃষা মোর হরিলে সুন্দরী।
এ ছন্দে দুইই চলবে। কিন্তু,
কারে সমর্পণ করিলে সুন্দরী।
অগ্রাহ্য, অন্তত আধুনিক কালের কানে। অসম মাত্রার ছন্দে এরকম যুক্তধ্বনির বন্ধুরতা আবার একদিন ফিরে আসতেও পারে, কিন্তু আজ এটার চল নেই।
এই উপলক্ষে একটা কথা বলে রাখি, সেটা আইনের কথা নয়, কানের অভিরুচির কথা।–
ব্যবহার করা আমার পক্ষে সহজ, কিন্তু–
অল্প একটু বাধে। তার কারণ খণ্ড ত’কে পূর্ণ ত’এর জাতে তুলতে হলে তার পূর্ববর্তী স্বরবর্ণকে দীর্ঘ করতে হয়; এই