চেয়ে। এ সংসারে যেথা যাও, সাথে থাকে
রমণীর অনিমেষ প্রেম, দেবতার
ধ্রুবদৃষ্টি-সম ; পবিত্র কিরণে তারি
দীপ্তি পায় বিপদের মেঘ, স্বর্ণময়
সম্পদের মতো। আমি কোন্ সুখে ফিরি
দেশ-দেশান্তরে, স্কন্ধে বহে জয়ধ্বজা,
অন্তরেতে অভিশপ্ত হিংসাতপ্ত প্রাণ।
কোথা আছে কোন্ স্নিগ্ধ হৃদয়ের মাঝে
প্রস্ফুটিত শুভ্র প্রেম শিশিরশীতল।
ধুয়ে দাও, প্রেমময়ী, পুণ্য অশ্রুজলে
এ মলিন হস্ত মোর রক্তকলুষিত।
প্রহরী। ব্রাহ্মণ এসেছে মহারাজ, তব সাথে
সাক্ষাতের তরে।
বিক্রমদেব। নিয়ে এসো, দেখা যাক।
দেবদত্ত। রাজার দোহাই, ব্রাহ্মণেরে রক্ষা করো।
বিক্রমদেব। একি! তুমি কোথা হতে এলে? অনুকূল
দৈব মোর 'পরে। তুমি বন্ধুরত্ন মোর।
দেবদত্ত। তাই বটে মহারাজ, রত্ন বটে আমি।
অতি যত্নে বন্ধ করে রেখেছিলে তাই।
ভাগ্যবলে পলায়েছি খোলা পেয়ে দ্বার।
আবার দিয়ো না সঁপি প্রহরীর হাতে
রত্নভ্রমে। আমি শুধু বন্ধুরত্ন নহি,
ব্রাহ্মণীর স্বামীরত্ন আমি। সে কি হায়
এতদিন বেঁচে আছে আর?
বিক্রমদেব। একি কথা!
আমি তো জানি নে কিছু, এতদিন রুদ্ধ
আছ তুমি!
দেবদত্ত। তুমি কী জানিবে মহারাজ?
তোমার প্রহরী দুটো জানে। কত শাস্ত্র