হেন লোক হেন ধুলো কোথা পাবে!
ক্ষীরো। থাম্ থাম্ তোরা, রেখে দে বকুনি,
লজ্জা করে যে নিজগুণ শুনি।
মালতী!
মালতী। আজ্ঞে।
ক্ষীরো। ওদের গয়না
ছিল যা এমন কাহারো হয় না।
দুখানি চুড়িতে ঠেকেছে শেষে,
দেখে আমি আর বাঁচি নে হেসে।
তবু মাথা যেন নুইতে চায় না,
ভিখ নেবে তবু কতই বায়না।
পথে বের হল পথের ভিখিরি,
ভুলতে পারে না তবু রানীগিরি।
নত হয় লোক বিপদে ঠেকলে,
পিত্তি জ্বলে যে দেমাক দেখলে।
আবার কিসের শুনি কোলাহল।
মালতী। দুয়ারে এসেছে ভিক্ষুকদল —
আকাল পড়েছে, চালের বস্তা
মনের মতন হয় নি সস্তা,
তাইতে চেঁচিয়ে খাচ্ছে কানটা।
বেতটি পড়লে হবেন ঠাণ্ডা।
ক্ষীরো। রানী কল্যাণী আছেন দাতা।
মোর দ্বারে কেন হস্ত পাতা।
বলে দে আমার পাঁড়েজি বেটাকে
ধরে নিয়ে যাক সকল-ক'টাকে,
দাতা কল্যাণী রানীর ঘরে
সেথায় আসুক ভিক্ষে করে।
সেখানে যা পাবে এখানে তাহার
আরো পাঁচ গুণ মিলবে আহার।
প্রথমা। হা হা হা, কী মজা হবেই না জানি।
দ্বিতীয়া। হাসিয়ে হাসিয়ে মারলেন রানী।
তৃতীয়া। আমাদের রানী এতও হাসান!