গ্রামছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে
লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,
পায়ে পায়ে পায়ে ধরে —
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে
যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে,
কোন্খানে কী দায় ঠেকাবে,
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে —
ভেবেই না কুলায় রে।
উদয়। ঠাকুর, তুমি কি ভাবছ বিভা আমার পথের সঙ্গিনী। ওকে আমি ওর শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছি।
ধনঞ্জয়। বেশ, বেশ, হরি যেখানে নিয়ে যান সেইখানেই ভালো। দেখি তিনি কোন্খানে পৌঁছিয়ে দেন, আমিও সঙ্গে আছি। কোনো ভয় নেই দিদি, কোনো ভয় নেই।
[ প্রস্থান
বিভা। দাদা, ঐ-যে মোহন আসছে। ওর সঙ্গে আমি একটু আলাদা কথা কইতে চাই।
উদয়। আচ্ছা, আমি একটু সরে যাচ্ছি।
[ প্রস্থান
রামমোহনের প্রবেশ
বিভা। মোহন!
রামমোহন। মা, আজ তুমি এলে?
বিভা। হাঁ মোহন, তুই কি আমায় নিতে এলি।
রামমোহন। না মা, অত ব্যস্ত হোয়ো না, আজ থাক্।
বিভা। কেন মোহন, আজ কেন নয়।
রামমোহন। আজ দিন ভালো নয় যে মা, আজ দিন ভালো নয়।
বিভা। ভালো দিন নয়? তবে আজ এত উৎ সবের আয়োজন কেন। বরাবর দেখলুম রাস্তায় আলোর মালা, বাঁশি বাজছে। আজ বুঝি শুভলগ্ন পড়েছে।
রামমোহন। শুভলগ্ন, মিথ্যা কথা! সমস্ত ভুল!