Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
বিচিত্র, ১৩৯
বিচিত্র
১৩৯
( আমি
) শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি
মম জল-ছলোছলো আঁখি মেঘে মেঘে॥
( আমার বেদনা ব্যাপিয়া যায় গো বেণুবনমর্মরে মর্মরে॥)
বিরহদিগন্ত পারায়ে সারা রাতি
অনিমেষে আছে জেগে মেঘে মেঘে॥
(বিরহের পরপারে খুঁজিছে আকুল আঁখি
মিলনপ্রতিমাখানি-খুঁজিছে।)
যে গিয়েছে দেখার বাহিরে
আছে তারি উদ্দেশে চাহি রে।
( সে যে চোখে মোর জল রেখে গেছে চোখের সীমানা পারায়ে।)
স্বপ্নে উড়িছে তারি কেশরাশি
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে॥
(কেশের পরশ তার পাই রে
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে॥)
শ্যামল তমালবনে
যে পথে সে চলে গিয়েছিল বিদায়গোধূলিখনে
বেদনা জড়ায়ে আছে তারি ঘাসে–
( তার না-বলা কথার বেদনা বাজে গো–
চলার পথে পথে বাজে গো।)
কাঁপে নিশ্বাসে–
সেই বারে বারে ফিরে ফিরে চাওয়া
ছায়ায় রয়েছে লেগে মেঘে মেঘে॥
মম জল-ছলোছলো আঁখি মেঘে মেঘে॥
( আমার বেদনা ব্যাপিয়া যায় গো বেণুবনমর্মরে মর্মরে॥)
বিরহদিগন্ত পারায়ে সারা রাতি
অনিমেষে আছে জেগে মেঘে মেঘে॥
(বিরহের পরপারে খুঁজিছে আকুল আঁখি
মিলনপ্রতিমাখানি-খুঁজিছে।)
যে গিয়েছে দেখার বাহিরে
আছে তারি উদ্দেশে চাহি রে।
( সে যে চোখে মোর জল রেখে গেছে চোখের সীমানা পারায়ে।)
স্বপ্নে উড়িছে তারি কেশরাশি
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে॥
(কেশের পরশ তার পাই রে
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে॥)
শ্যামল তমালবনে
যে পথে সে চলে গিয়েছিল বিদায়গোধূলিখনে
বেদনা জড়ায়ে আছে তারি ঘাসে–
( তার না-বলা কথার বেদনা বাজে গো–
চলার পথে পথে বাজে গো।)
কাঁপে নিশ্বাসে–
সেই বারে বারে ফিরে ফিরে চাওয়া
ছায়ায় রয়েছে লেগে মেঘে মেঘে॥