Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
বিচিত্র, ৯৯
বিচিত্র
৯৯
যাবই আমি যাবই ওগো, বাণিজ্যেতে যাবই।
লক্ষ্মীরে হারাবই যদি, অলক্ষ্মীরে পাবই॥
সাজিয়ে নিয়ে জাহাজখানি বসিয়ে হাজার দাঁড়ি
কোন্ পুরীতে যাব দিয়ে কোন্ সাগরে পাড়ি।
কোন্ তারকা লক্ষ্য করি কূলকিনারা পরিহরি
কোন্ দিকে যে বাইব তরী বিরাট কালো নীরে–
মরব না আর ব্যর্থ আশায় সোনার বালুর তীরে॥
নীলের কোলে শ্যামল সে দ্বীপ প্রবাল দিয়ে ঘেরা।
শৈলচূড়ায় নীড় বেঁধেছে সাগর-বিহঙ্গেরা।
নারিকেলের শাখে শাখে ঝোড়ো বাতাস কেবল ডাকে,
ঘন বনের ফাঁকে ফাঁকে বইছে নগনদী।
সাত-রাজার ধন মানিক পাব সেথায় নামি যদি॥
হেরো সাগর ওঠে তরঙ্গিয়া, বাতাস বহে বেগে।
সূর্য যেথায় অস্তে নামে ঝিলিক মারে মেঘে।
দক্ষিণে চাই, উত্তরে চাই–ফেনায় ফেনা, আর কিছু নাই–
যদি কোথাও কূল নাহি পাই তল পাব তো তবু–
ভিটার কোণে হতাশমনে রইব না আর কভু॥
অকূল-মাঝে ভাসিয়ে তরী যাচ্ছি অজানায়
আমি শুধু একলা নেয়ে আমার শূন্য নায়।
নব নব পবন-ভরে যাব দ্বীপে দ্বীপান্তরে,
নেব তরী পূর্ণ করে অপূর্ব ধন যত।
ভিখারি মন ফিরবে যখন ফিরবে রাজার মতো॥
লক্ষ্মীরে হারাবই যদি, অলক্ষ্মীরে পাবই॥
সাজিয়ে নিয়ে জাহাজখানি বসিয়ে হাজার দাঁড়ি
কোন্ পুরীতে যাব দিয়ে কোন্ সাগরে পাড়ি।
কোন্ তারকা লক্ষ্য করি কূলকিনারা পরিহরি
কোন্ দিকে যে বাইব তরী বিরাট কালো নীরে–
মরব না আর ব্যর্থ আশায় সোনার বালুর তীরে॥
নীলের কোলে শ্যামল সে দ্বীপ প্রবাল দিয়ে ঘেরা।
শৈলচূড়ায় নীড় বেঁধেছে সাগর-বিহঙ্গেরা।
নারিকেলের শাখে শাখে ঝোড়ো বাতাস কেবল ডাকে,
ঘন বনের ফাঁকে ফাঁকে বইছে নগনদী।
সাত-রাজার ধন মানিক পাব সেথায় নামি যদি॥
হেরো সাগর ওঠে তরঙ্গিয়া, বাতাস বহে বেগে।
সূর্য যেথায় অস্তে নামে ঝিলিক মারে মেঘে।
দক্ষিণে চাই, উত্তরে চাই–ফেনায় ফেনা, আর কিছু নাই–
যদি কোথাও কূল নাহি পাই তল পাব তো তবু–
ভিটার কোণে হতাশমনে রইব না আর কভু॥
অকূল-মাঝে ভাসিয়ে তরী যাচ্ছি অজানায়
আমি শুধু একলা নেয়ে আমার শূন্য নায়।
নব নব পবন-ভরে যাব দ্বীপে দ্বীপান্তরে,
নেব তরী পূর্ণ করে অপূর্ব ধন যত।
ভিখারি মন ফিরবে যখন ফিরবে রাজার মতো॥