Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
বিচিত্র, ৩০
বিচিত্র
৩০
যে আমি ওই ভেসে চলে
কালের ঢেউয়ে আকাশতলে
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে।
ধুলার সাথে, জলের সাথে, ফুলের সাথে, ফলের সাথে,
সবার সাথে চলছে ও যে ধেয়ে॥
ও যে সদাই বাইরে আছে, দুঃখে সুখে নিত্য নাচে–
ঢেউ দিয়ে যায়, দোলে যে ঢেউ খেয়ে।
একটু ক্ষয়ে ক্ষতি লাগে, একটু ঘায়ে ক্ষত জাগে–
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে॥
যে আমি যায় কেঁদে হেসে তাল দিতেছে মৃদঙ্গে সে,
অন্য আমি উঠতেছি গান গেয়ে।
ও যে সচল ছবির মতো, আমি নীরব কবির মতো–
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে।
এই-যে আমি ওই আমি নই, আপন-মাঝে আপনি যে রই,
যাই নে ভেসে মরণধারা বেয়ে–
মুক্ত আমি, তৃপ্ত আমি, শান্ত আমি, দৃপ্ত আমি।
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে॥
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে।
ধুলার সাথে, জলের সাথে, ফুলের সাথে, ফলের সাথে,
সবার সাথে চলছে ও যে ধেয়ে॥
ও যে সদাই বাইরে আছে, দুঃখে সুখে নিত্য নাচে–
ঢেউ দিয়ে যায়, দোলে যে ঢেউ খেয়ে।
একটু ক্ষয়ে ক্ষতি লাগে, একটু ঘায়ে ক্ষত জাগে–
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে॥
যে আমি যায় কেঁদে হেসে তাল দিতেছে মৃদঙ্গে সে,
অন্য আমি উঠতেছি গান গেয়ে।
ও যে সচল ছবির মতো, আমি নীরব কবির মতো–
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে।
এই-যে আমি ওই আমি নই, আপন-মাঝে আপনি যে রই,
যাই নে ভেসে মরণধারা বেয়ে–
মুক্ত আমি, তৃপ্ত আমি, শান্ত আমি, দৃপ্ত আমি।
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে॥