রসিক। কী হে, এখানে যে এত হস্ ধাতুর আমদানি?
নীলমণি। হস্ ধাতুই বটে। হা হা হা!
তিনকড়ি। ( ধীরাজের প্রতি) একবার কথাটা শুনুন। হস্ ধাতু — হা হা হা!
ভোলা। ধীরাজবাবু শুনছেন। কী চমৎকার! হস্ ধাতু — আবার আমদানি।
নীলমণি। ধীরাজবাবু-
ধীরাজ। আমি বুঝেছি।
নেপাল। ধীরাজবাবু-
ধীরাজ। আর কষ্ট পেতে হবে না, একরকম বুঝেছি।
রসিক। ভেগ্নীদের কোনো নূতন খবর পেয়েছ।
নীলমণি প্রভৃতি। হী হী হো হো হা হা!
ধীরাজ। ভেগ্নী কী।
তিনকড়ি। আর সকলে ভগ্নী বলে, রসিকবাবু বলেন ভেগ্নী! হা হা হা!
ধীরাজ। কেন, উনি কি বাংলা জানেন না?
তিনকড়ি। মজাটা বুঝছেন না? ভগ্নী তো সবাই বলে, কিন্তু ভেগ্নী!
রসিক। বুঝেছ ভোলা, আজ এক কাণ্ডই হয়ে গেছে। ভেগ্নীসভার সভ্যি আর সভাপেত্নী —
তিনকড়ি প্রভৃতি। হো হো হী হী হা হা!
দামোদর ও চিন্তামণির প্রবেশ
উভয়ে। কী হে, কী হে, কী হল? কী কথাটা হল?
তিনকড়ি। রসিকবাবু বলছিলেন ‘ ভেগ্নীসভার সভ্যি ও সভাপেত্নী ' — হা হা হো হো!
দামোদর। এ ভারি মজা। এটা আপনাকে লিখতে হচ্ছে। আমাদের কাগজে লিখুন।
চিন্তামণি। রসিকবাবু, এটা লিখে ফেলুন।
তিনকড়ি। ধীরাজবাবু, বুঝেছেন?
ভোলা। পেত্নী কেন বললেন বুঝেছেন? যেমন ভেগ্নী তেমনি পেত্নী। হা হা হা!
নেপাল। ওর মজাটা বোঝেন নি ধীরাজবাবু? আসল কথাটা পত্নী। কিন্তু রসিকবাবু-
ধীরাজ। দোহাই, আমাকে আর বেশি বুঝিয়ো না।
ভোলা। কোন্ ভদ্রলোকের ঘর লক্ষ্য করে বলা হয়েছে বোঝেন নি বলে ধীরাজবাবু হাসছেন না।
ধীরাজ। বুঝতে পেরেছি ব'লেই হাসছি নে। আমিও যে ভদ্রলোক, আমারও স্ত্রী কন্যা ভগ্নী আছে।
রসিক। তোমরা যখন বলছ তখন অবশ্যই লিখব। কিন্তু এ-সব চণ্ডমুণ্ডবধের পালা, একেবারে সারেগামাপাধানি, তেরেকেটে মেরেকেটে ছাড়া কথা নেই। ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া আর-কি। বুঝেছ?
সকলে। বুঝেছি বৈকি। হা হা হো হো!