হরশংকর। তোমার সঙ্গে সুখদুঃখের অনেক কথা আছে ভাই — সে-সব কথা পরে হবে, আগে একটা কাজের কথা বলে নিই।
দুকড়ি। ( পুলকিত হইয়া) কাজের কথা অনেকক্ষণ শুনি নি ভাই — বলো শুনে কান জুড়োক।
শালের মধ্য হইতে হরশংকরের খাতা বাহির-করণ
ও কী ও, খাতা বেরোয় যে!
হরশংকর। আমাদের পাড়ার ছেলেরা মিলে একটা সভা-
দুকড়ি। ( চমকিত হইয়া) সভা!
হরশংকর। সভাই বটে। তা কিছু চাঁদার জন্যে-
দুকড়ি। চাঁদা! দেখো, তোমার সঙ্গে আমার বহুকালের প্রণয়, কিন্তু ঐ কথাটা যদি আমার সামনে উচ্চারণ কর তা হলে চিরকালের মতো চটাচটি হবে তা বলে রাখছি।
হরশংকর। বটে! তুমি কোথাকার খড়গেছের ‘ গানোন্নতি ' সভায় পাঁচ হাজার টাকা দান করতে পার, আর বন্ধুর অনুরোধে পাঁচ টাকা সই করতে পারো না! কোন্ পাষণ্ড নরাধম এখেনে আর পদার্পণ করে।
[ সবেগে প্রস্থান
খাতা-হস্তে এক ব্যক্তির প্রবেশ
দুকড়ি। খাতা? আবার খাতা? পালাও পালাও!
খাতাবাহক। ( ভীত হইয়া ) আমি নন্দলালবাবুর-
দুকড়ি। নন্দলাল ফন্দলাল বুঝি নে, পালাও এখনই।
খাতাবাহক। আজ্ঞে, সেই টাকাটা।
দুকড়ি। আমি টাকা দিতে পারব না। বেরোও বেরোও।
[ খাতাবাহকের পলায়ন
কেরানি। মশায়, করলেন কী? নন্দলালবাবুর কাছ থেকে আপনার পাওনার টাকাটা নিয়ে এসেছে। ও টাকাটা আদায় না হলে আজ যে চলবে না।
দুকড়ি। কী সর্বনাশ! ওকে ডাকো ডাকো।
কেরানি। সে চলে গেছে, তাকে পাওয়া গেল না।
দুকড়ি। বিষম দায় দেখছি।
দুকড়ি। কী চাও?
তম্বুরা। আপনার মতো এমন রসজ্ঞ কে আছে। গানের উন্নতির জন্য আপনি কী না করছেন। আপনাকে গান শোনাব।