Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
প্রকৃতি, ১৪৪
প্রকৃতি
১৪৪
আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালিমালা–
নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা॥
এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো নির্মল নীলপথে,
এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল বনগিরি-পর্বতে–
এসো মুকুটে পরিয়া শ্বেতশতদল শীতল-শিশির-ঢালা।
ঝরা মলতীর ফুলে
আসন বিছানো নিভৃত কুঞ্জে ভরা গঙ্গার কূলে,
ফিরিছে মরাল ডানা পাতিবারে তোমার চরণমূলে।
গুঞ্জর তাল তুলিয়ো তোমার সোনার বীণার তারে
মৃদুমধু ঝংকারে,
হাসি-ঢালা সুর গলিয়া পড়িবে ক্ষণিক অশ্রুধারে।
রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি ঝলকে অলককোণে
পলকের তরে সকরুণ করে বুলায়ো বুলায়ো মনে–
সোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা, আঁধার হইবে আলা॥
নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা॥
এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো নির্মল নীলপথে,
এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল বনগিরি-পর্বতে–
এসো মুকুটে পরিয়া শ্বেতশতদল শীতল-শিশির-ঢালা।
ঝরা মলতীর ফুলে
আসন বিছানো নিভৃত কুঞ্জে ভরা গঙ্গার কূলে,
ফিরিছে মরাল ডানা পাতিবারে তোমার চরণমূলে।
গুঞ্জর তাল তুলিয়ো তোমার সোনার বীণার তারে
মৃদুমধু ঝংকারে,
হাসি-ঢালা সুর গলিয়া পড়িবে ক্ষণিক অশ্রুধারে।
রহিয়া রহিয়া যে পরশমণি ঝলকে অলককোণে
পলকের তরে সকরুণ করে বুলায়ো বুলায়ো মনে–
সোনা হয়ে যাবে সকল ভাবনা, আঁধার হইবে আলা॥