
Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
নটরাজ- আষাঢ়, ১৬
নটরাজ
ধনঞ্জয়।
গান
মরমে মরমে বেদনা ফুটে
বাঁধন টুটে, বাঁধন টুটে।
সমারোহ তার বিস্তারি,
বিজয়ী সে বীর, ওরে ভয়ভীতা
যাবে তোর ভয়, ওরে পিপাসিতা
তৃষা হতে দিবে নিস্তারি।
ললাটে নিপুণ পত্রলেখাটি
আঁকো কুঙ্কুম চন্দনে।
দুলাও চামেলি অলকে তোমার
কবরী রচিয়া এলো কেশভার
বেঁধে তোলো বেণীবন্ধনে।
উঠ ধূলি হতে ওগো দুঃখিনী
ছাড়ো গৈরিক উত্তরী।
নীলবসনের অঞ্চলখানি
কম্পিত বুখে লহ লহ টানি
হাসিমুখে চাহো সুন্দরী।
বীর-মঙ্গল ঘোষুক মন্দ্র
মুখে তুলে তোর শঙ্খ নে।
কৌতুকসুখ চক্ষে ফুটুক,
বিদ্যুৎ-শিখা কম্পি উঠুক
তব চঞ্চল কঙ্কণে।
কুঞ্জকানন জাগ্রত হোক
আজি বন্দনাসংগীতে —
শিহর লাগুক শাখায় শাখায়,
মাতন লাগুক শিখীর পাখায়
তব নৃত্যের ভঙ্গিতে।
শ্যামবন্ধুরে শ্যামল তৃণের
আসনে বসাবি অঙ্গনে।
রাখিবি দুয়ারে আল্পনা আঁকি,
চরণের তলে ধুলা দিবি ঢাকি,
টগর করবী রঙ্গনে।
গাও জয় জয়, গাও জয়গান
ঢেউ তোলো স্বরসপ্তকে,