মধুসূদন। ওইটি তো পারব না। আগেই তো বলেছি, খাওয়া-দাওয়া সম্বন্ধে খুব ধরকাট করেই চলতে হয়।
বিপ্রদাস। পিসিমাকে বলো গে, ওঁর শরীর ভালো নেই, খেতে পারবেন না।
[ ভৃত্যের প্রস্থান
কুমুদিনীর প্রবেশ
কুমুদিনী। দাদার শরীর ক্লান্ত, ওঁকে বেশি কথা কওয়াতে ডাক্তারের মানা। তোমার যদি কিছু বলবার থাকে আমাকে বলো। বলো কী বলবার আছে।
মধুসূদন। যাবে না বাড়িতে?
কুমুদিনী। না।
মধুসূদন। সেকি কথা!
কুমুদিনী। আমাকে তোমার তো দরকার নেই।
মধুসূদন। কী-যে বল তার ঠিক নেই। দরকার নেই তো কী? শূন্য ঘর কি ভালো লাগে?
কুমুদিনী। আমি যাব না।
মধুসূদন। মানে কী? বাড়ির বউ বাড়িতে যাবে না —
কুমুদিনী। না।
মধুসূদন। কী! যাবে না! যেতেই হবে। জান পুলিস ডেকে তোমাকে নিয়ে যেতে পারি ঘাড়ে ধরে! ‘ না ' বললেই হল!
গর্জন করে
দাদার স্কুলে নুরনগরী কায়দা শিক্ষা আবার আরম্ভ হয়েছে?
কুমুদিনী। চুপ করো, অমন চেঁচিয়ে কথা কোয়ো না।
মধুসূদন। কেন? তোমার দাদাকে সামলে কথা কইতে হবে নাকি? জান এই মুহূর্তে ওকে পথে বার করতে পারি।
উঠে দাঁড়িয়ে
বিপ্রদাস। আর নয়, তুমি চলে যাও।
মধুসূদন। মনে থাকবে তোমার এই আস্পর্ধা! তোমার নুরনগরের নুর মুড়িয়ে দেব, তবে আমার নাম মধুসূদন।
[ প্রস্থান
ক্ষেমাপিসির প্রবেশ
ক্ষেমাপিসি। আজ কি খেতে হবে না কুমু? বেলা যে অনেক হল।
বিপ্রদাস। কুমু, যা, খেতে যা। — তোর কালুদাদাকে পাঠিয়ে দে।