নবীন। গোড়াতেই সকল কথার শেষ পর্যন্ত ভাবতে গেলে ঠকতে হয়। আশু ভাবা উচিত, প্রথম কর্তব্যটা কী। সেটা হচ্ছে, বিপ্রদাসবাবুকে দাদার দেখতে যাওয়া। দেখতে গিয়ে তার ফলে যা হতে পারে তার উপায় এখনি চিন্তা করতে বসলে তাতে চিন্তাশীলতার পরিচয় দেওয়া হবে, কিন্তু সেটা হবে অতি-চিন্তাশীলতা।
মোতির মা। কি জানি! আমার বোধ হচ্ছে মুশকিল বাধবে।
কুমুদিনী বিপ্রদাসের পায়ের কাছে বসে
তাঁর পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে
ভৃত্যের প্রবেশ
ভৃত্য। মহারাজ মধুসূদন এসেছেন।
বিপ্রদাস। কুমু, তুই বাড়ির ভিতরে যা। তোকে হয়তো দরকার হবে না।
[ কুমুদিনী ও ভৃত্যের প্রস্থান
মধুসূদনের প্রবেশ
একটা অসমাপ্ত নমস্কারের দ্রুত আভাস দিয়ে খাটের
পাশের একটা কেদারায় বসে
মধুসূদন। কেমন আছেন বিপ্রদাসবাবু? শরীরটা তো তেমন ভালো দেখাচ্ছে না।
বিপ্রদাস। তোমার শরীর ভালোই আছে দেখছি —
মধুসূদন। বিশেষ ভালো যে তা বলতে পারি নে — সন্ধের দিকটা মাথা ধরে, আর ক্ষিদেও ভালো হয় না। খাওয়া-দাওয়ার অল্প একটু অযত্ন হলেই সইতে পারি নে। আবার অনিদ্রাতেও মাঝে মাঝে ভুগি, ওইটেতে সব চেয়ে দুঃখ দেয়।
বিপ্রদাস। বোধ করি আপিসের কাজ নিয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
মধুসূদন। এমনিই কী! আপিসের কাজকর্ম আপনিই চলে যাচ্ছে, আমাকে বড়ো কিছু দেখতে হয় না। ম্যাক্নটন্ সাহেবের উপরেই বেশির ভাগ কাজের ভার, সার আর্থর পীবডিও আমাকে অনেকটা সাহায্য করেন।
ভৃত্যের প্রবেশ
ভৃত্য। জলখাবার প্রস্তুত।
ব্যস্ত হয়ে