মুক্তোমালা বের করে
তোমার জন্যে মুক্তার মালা এনেছি। কেমন, পছন্দ হয়েছে? খুশি হয়েছ? আমি পরিয়ে দেব?
কুমুদিনী নিরুত্তর
বুঝেছি, দরখাস্ত নামঞ্জুর। বড়োবউ, তোমার বুকের কাছে আমার অন্তরের এই দরখাস্তটি লটকিয়ে দেব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তার আগেই ডিস্মিস্। আচ্ছা, আর-একটি জিনিস যদি দিই তো কী দেবে বলো! যেমন জিনিসটি তার উপযুক্ত দাম নেব কিন্তু!
এস্রাজ এনে দিলে
কুমুদিনী। কোথায় পেলে?
মধুসূদন। তোমার দাদা পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কেমন, এবার খুশি হয়েছ তো? তবে দাম দাও।
কুমুদিনী। কী?
মধুসূদন। বাজিয়ে শোনাও আমাকে। আমার সামনে লজ্জা কোরো না।
কুমুদিনী। সুর বাঁধা নেই।
মধুসূদন। তোমার নিজের মনেরই সুর বাঁধা নেই, তাই বলো-না কেন!
কুমুদিনী। যন্ত্রটা ঠিক করে রাখি, তোমাকে আর-এক দিন শোনাব।
মধুসূদন। কবে, ঠিক করে বলো, কাল?
কুমুদিনী। বেশ, কাল।
মধুসূদন। সন্ধেবেলায় আফিস থেকে ফিরে এলে?
কুমুদিনী। তাই হবে।
মধুসূদন। এস্রাজটা পেয়ে খুব খুশি হয়েছ?
কুমুদিনী। হয়েছি। —
মধুসূদন। বড়োবউ, আজ তুমি আমার কাছে কিছু চাও। যা চাও তাই পাবে।
কুমুদিনী। মুরলীকে একখানা শীতের কাপড় দিতে চাই।
মধুসূদন। লক্ষ্মীছাড়া মুরলী বুঝি তোমাকে বিরক্ত করেছে?
কুমুদিনী। না, আমি নিজেই ওকে একটা আলোয়ান দিতে গেলুম, ও নিলে না। তুমি যদি হুকুম কর
তবেই সাহস করে নেবে।