চমকে উঠে
মধুসূদন। কী বলছ স্বামী, প্রমাদ? প্রমাদ ঘটেছে।
নবীন। ভাষায় বলো প্রভু।
বেঙ্কট। ভুলানি প্রভূতানি।
নবীন। বুঝেছি। ভুল থাকে তো ওটা ফেলেই দাও-না।
আঁক কষে
বেঙ্কট। পঞ্চম বর্গঃ।
আঙুলের পর্ব গুনতে গুনতে
ক বর্গ, চ বর্গ, ট বর্গ, ত বর্গ, প বর্গ। পঞ্চম বর্ণ, প ফ ব ভ ম।
মধুসূদন। বিদ্যেসাগরের বর্ণপরিচয় আওড়াতে শুরু করলে যে, একেবারে গোড়া থেকেই। তা হলে তো রাত পুইয়ে যাবে!
বেঙ্কট। পঞ্চাক্ষরকং।
হাঁটু চাপড়ে
নবীন। পঞ্চাক্ষর! বুঝেছি দাদা। কী আশ্চর্য!
মধুসূদন। কী বুঝলে?
নবীন। পঞ্চম বর্গের পঞ্চম বর্ণ ম, তাকে নিয়ে পাঁচটা অক্ষর। ম-ধু-সূ-দ-ন! জন্মগ্রহের অদ্ভুত কৃপায় তিনটে পাঁচ এক জায়গায় এসে ঠেকেছে। এ'কে বলে পাঁচের ত্রিবেণীসংগম। কী বলো স্বামী?
গম্ভীরভাবে
বেঙ্কট। ইত্যেব।
নস্যগ্রহণ
নবীন। দাদা, দেখলে কাণ্ড? নামকরণ হয়েই গেছে ভৃগুমুনির খাতায় — সত্যযুগে — বাপ-মা তো উপলক্ষ। তপস্যার কী জোর! বাস্ রে! মনে করলে শরীর