নবীন। তা হলে কি —
মধুসূদন। হাঁ, তাকে এইখানেই ডেকে আনো, শোবার ঘরেই।
[ নবীনের প্রস্থান
চঞ্চলভাবে মধুসূদন পায়চারি করে বেড়াতে লাগল
কেদার!
কেদারের প্রবেশ
কেদার। মহারাজ!
মধুসূদন। এই কার্পেটটা সরিয়ে নিয়ে যা। বেটা কোন্ বড়োবাজারের ধুলো পায়ে করে আনবে!
কেদারের তথাকরণ। বেঙ্কটকে নিয়ে নবীনের প্রবেশ
কেদারের প্রতি
মধুসূদন। এখানে দাঁড়িয়ে কী করছিস? যা তুই!
[ কেদারের প্রস্থান
দেখো, আমার কিন্তু সময় নেই, জরুরি কাজ। আজ রাত্রেই খাতা নিয়ে পড়তে হবে।
নবীন। কিছু ভয় নেই দাদা, দেরি হবে না। আসল কাজটা দশ হাজার বছর আগেই সারা হয়ে আছে। দশ-পনেরো মিনিটের মধ্যেই গ্রহচক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাবে।
মধুসূদন। আচ্ছা, তা হলে চট্পট্ শুরু করে দাও স্বামীজি।
সামনে ঘড়ি খুলে রেখে দিল
মাটিতে খড়ি দিয়ে বেঙ্কটের আঁক কষা
নবীন। দাদার ঠিকুজি এই আমি এনেছি। দেখতে চান?
উল্টে পালটে দেখে, মাথা নেড়ে
বেঙ্কট। প্রমাদবহুলমেতৎ।