আঁচল ধরে টেনে
কুমুদিনী। যেয়ো না, যেয়ো না তুমি।
মোতির মা। না, আমার থাকা ভালো হবে না।
[ দ্রুত প্রস্থান
মধুসূদনের প্রবেশ
মধুসূদন। লোকজন বড়ো যাওয়া-আসা করছে, পর্দাটা ফেলে দিই, কী বলো!
কুমু নিরুত্তর। মধুসূদন কী কথা বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে
মধুসূদন। শীত করছে না?
কুমুদিনী। না।
মধুসূদন। ঠাণ্ডা পড়েছে বৈকি। সাবধান হওয়া ভালো।
একটা বিলিতি কম্বল কতকটা নিজের এবং কতকটা কুমুর পায়ে চাপা দিয়ে পাশাপাশি বসল।
কুমুদিনী হঠাৎ কম্বলটা নিজের পায়ের থেকে সরিয়ে দিতে যাচ্ছিল, আপনাকে সামলিয়ে নিলে।
তোমার হাত আঁচলে ঢাকা কেন? একবার দাও-না দেখি।
কুমদিনী হাত বাড়িয়ে দিল
আংটি যে। এ কী, এ যে নীলা! সর্বনাশ!
কুমুদিনী নিরুত্তর
দেখো, নীলা আমার সয় না, ওটা তোমাকে ছাড়তে হবে।
কুমুদিনী হাত ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করলে, মধুসূদন ছাড়লে না
আমি যে বছর নীলা কিনেছিলুম সেই বছরেই আমার পাট-বোঝাই নৌকো হাওড়া ব্রিজে ঠেকে তলিয়ে যায়।
কুমুদিনী আবার হাত মুক্ত করবার চেষ্টা করলে, মধুসূদন ছাড়লে না
এটা আমি খুলে নিই।