বিপিন। ঈশেন, একটা মুটে ডাকো, আমার হুঁকো আর ক্যাম্বিসের ব্যাগটা—
বৈকুণ্ঠ। ঈশেন, হারামজাদা কোথাকার, ভদ্রলোককে তুই, তোকে আর—
ঈশান। আজ আমাকে গাল দাও, ধরে মারো, আমি কিছু বলব না—প্রাণ বড়ো খুশি হয়েছে।
কেদার। ওর নাম কী, অবিনাশ ডাকছ?
অবিনাশ। হাঁ—তোমার চুলো প্রস্তুত হয়েছে, এখন ঘর থেকে নাবতে হবে।
কেদার। তোমার ঠাট্টাটা অবিনাশ অন্য লোকের ঠাট্টার চেয়ে, ওর নাম কী, কিছু কড়া হয়।
বৈকুণ্ঠ। আহা, অবিনাশ, তুমি থামো! কেদারবাবু, অবিনাশের উদ্ধত বয়েস, আপনার আত্মীয়দের সঙ্গে ওঁর ঠিক—
অবিনাশ। বনছিল না। তাই তিনি তাঁদের হাত ধরে সদর দরজার বার করে দিয়ে এসেছেন—
তিনকড়ি। এতক্ষণে আবার তাঁরা খিড়কির দরজা দিয়ে ঢুকেছেন, সাবধান থাকবেন—
অবিনাশ। এখন তোমাকেও তাঁদের পথে—
তিনকড়ি। ওঁকে দোসরা পথ দেখাবেন, সব কটিকে একত্রে মিলতে দেবেন না—
কেদার। অবু, ওর নাম কী, তা হলে আমার সম্বন্ধে করতলের পরিবর্তে পদতলেই স্থির হল—
অবিনাশ। হাঁ, যার যেখানে স্থান—
কেদার। ঈশেন, তা হলে একটা ভালো দেখে সেকেণ্ড্ ক্লাস গাড়ি ডেকে দাও তো।
তিনকড়ি। ভেবেছিলুম এবার বুঝি একলা বেরোতে হবে—শেষ, দাদাও জুটল। বরাবর দেখে আসছি কেদারদা, শেষকালটা তুমি ধরা পড়ই, আমি সর্বাগ্রেই সেটা সেরে রাখি, আমার আর ভাবনা থাকে না।
কেদার। তিনকড়ে! ফের!
বৈকুন্ঠ। কেদারবাবু, এখনই যাচ্ছেন কেন? আসুন, কিঞ্চিৎ জলযোগ করে নিন—
তিনকড়ি। তা বেশ তো, আমাদের তাড়া নেই।
বৈকুণ্ঠ। ঈশেন!