দ্বিতীয় বালক। না ঠাকুরদা, সে হবে না, তুমি আমাদের দলে।
ঠাকুরদাদা। না ভাই, আমি ভাগাভাগির খেলায় নেই; সে সব হয়ে বয়ে গেছে। আমি সকল দলের মাঝখানে থাকব, কাউকে বাদ দিতে পারব না। এবার গানটা ধর্।
উড়ে বেড়ায় আলোয় মেতে,
আজ কিসের তরে নদীর চরে
চখাচখীর মেলা।
অন্য দল আসিয়া। ঠাকুরদা, এই বুঝি! আমাদের তুমি ডেকে আনলে না কেন। তোমার সঙ্গে আড়ি। জন্মের মতো আড়ি।
ঠাকুরদাদা। এত বড়ো দন্ড। নিজেরা দোষ করে আমাকে শাস্তি! আমি তোদের ডেকে বের করব, না তোরা আমাকে ডেকে বাইরে টেনে আনবি। না ভাই, আজ ঝগড়া না, গান ধর।
যাব না আজ ঘরে।
ওরে আকাশ ভেঙে বাহিরকে আজ
নেব রে লুঠ করে।
যেন জোয়ার জলে ফেনার রাশি
বাতাসে আজ ছুটছে হাসি,
আজ বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি
কাটবে সকল বেলা।
প্রথম বালক। ঠাকুরদা, ঐ দেখো কে আসছে, ওকে তো কখনো দেখি নি।
ঠাকুরদাদা। পাগড়ি দেখে মনে হচ্ছে লোকটা পরদেশী।
প্রথম বালক। পরদেশী! ভারি মজা!
দ্বিতীয় বালক। আমি পরদেশী হব ঠাকুরদা।
তৃতীয় বালক। আমিও হব পরদেশী –কী মজা!
সকলে। আমরা সবাই পরদেশী হব।
প্রথম বালক। আমাদের ওই রকম পাগড়ি বানিয়ে দাও ঠাকুরদা, তোমার পায়ে পড়ি।
প্রথম বালক। তুমি পরদেশী?