তারক। সে কথা সত্যি। ওদের টেম্পেরেচর কমানো দরকার হয়েছে।
সোমশংকর। বৈধ উপায়ে ওদের ঠাণ্ডা করতে রাজি আছি।
তারক। আমাদের কমলবিলাস সেনগুপ্তকে দিয়ে একটা নিমন্ত্রণপত্র রচিয়ে নিয়ে এলুম।
সোমশংকর। পড়ে শোনাও।
তারক। প্রজাপতি যাঁদের সাথে পাতিয়ে আছেন সখ্য,
আর যাঁরা সব প্রজাপতির ভবিষ্যতের লক্ষ্য,
উদরসেবার উদার ক্ষেত্রে মিলুন উভয় পক্ষ,
রসনাতে রসিয়ে উঠুক নানা রসের ভক্ষ্য।
সত্যযুগে দেবদেবীদের ডেকেছিলেন দক্ষ,
অনাহূত পড়ল এসে মেলাই যক্ষ রক্ষ,
আমরা সে-ভুল করব না তো, মোদের অন্নকক্ষ
দুই পক্ষেই অপক্ষপাত দেবে ক্ষুধার মোক্ষ।
আজও যাঁরা বাঁধন-ছাড়া ফুলিয়ে বেড়ান বক্ষ
বিদায়কালে দেব তাঁদের আশিস্ লক্ষ লক্ষ,
তাঁদের ভাগ্যে অবিলম্বে জুটুন কারাধ্যক্ষ,
এর পরেআর মিল মেলেনা–য র ল ব হ ক্ষ।
ঐ আসছে ওদের দল।
সোমশংকর। কী উদ্দেশ্যে আগমন।
সুধাংশু। গান শোনাব।
সোমশংকর। তার পরে?
সুধাংশু। তার পরে নোব্ল্ রিভেঞ্জ্, সুমহতী প্রতিহিংসা।
সোমশংকর। ঐ মানুষটার কাঁধে ওটা কী। বোমা নয়?
সুধাংশু। ক্রমশ প্রকাশ্য। এখন গান।
সোমশংকর। কার রচনা।
শচীন। কপিরাইটের তর্ক আছে। বিষয় অনুসারে কপিরাইট-স্বত্ব আমাদেরই, বাক্যগুলি যার তাকে আমরা গণ্য করি নে।
আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল
ভবের পদ্মপত্রে জল॥
সদাই করছি টলোমল,
মোদের আসা-যাওয়া শূন্য হাওয়া,