Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
ঋণশোধ- ভূমিকা,৫
ঋণশোধ
বিজয়াদিত্য। তুমি আমাকে ঘরে টিঁকতে দিলে না দেখছি। চললেম আমি অমৃতের ঋণ শোধ করতে।
শেখর।
গান
আজ মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে
রহে না আবাসে মন হায়!
কোন্ কুসুমের আশে কোন্ ফুলবাসে
সুনীল আকাশে মন ধায়।
রহে না আবাসে মন হায়!
কোন্ কুসুমের আশে কোন্ ফুলবাসে
সুনীল আকাশে মন ধায়।
বিজয়াদিত্য। কবি, ভালোবাসা তো দেব, কিন্তু কোথায় দেব?
শেখর। মহারাজ, যেদিন সময় আসে, যেদিন ডাক পড়ে, সেদিন বাজে-খরচের দিন, একেবারে ঢেলে দিতে হয়, পথে পথে বনে বনে। আজ সেই দিন এসেছে –আমার মন দিশেহারা হয়েছে।
গান
আমি যদি রচি গান অথির পরান
সে গান শোনাব কারে আর।
আমি যদি গাঁথি মালা লয়ে ফুলডালা
কাহারে পরাব ফুলহার!
আমি আমার এ প্রাণ যদি করি দান
দিব প্রাণ তবে কার পায়?
সদা ভয় হয় মনে, পাছে অযতনে
মনে মনে কেহ ব্যথা পায়!
সে গান শোনাব কারে আর।
আমি যদি গাঁথি মালা লয়ে ফুলডালা
কাহারে পরাব ফুলহার!
আমি আমার এ প্রাণ যদি করি দান
দিব প্রাণ তবে কার পায়?
সদা ভয় হয় মনে, পাছে অযতনে
মনে মনে কেহ ব্যথা পায়!
বিজয়াদিত্য। বুঝেছি, কবি, আজ আর কথা নেই, আজ অমৃতের ঋণ শোধ করতে বেরোব। তুমি একবার মন্ত্রীকে ডেকে দাও।
[ শেখরের প্রস্থান
মন্ত্রীর প্রবেশ
বিজয়াদিত্য। মন্ত্রী, আমি আজই বাহির হব।
মন্ত্রী। তার আয়োজন –
বিজয়াদিত্য। বিনা আয়োজনে।