সন্ন্যাসী।
তোমার সোনার থালায় সাজাব আজ
দুখের অশ্রুধার।
জননী গো, গাঁথব তোমার
গলার মুক্তাহার।
চন্দ্র সূর্য পায়ের কাছে
মালা হয়ে জড়িয়ে আছে,
তোমার বুকে শোভা পাবে আমার
দুখের অলংকার।
ধন ধান্য তোমারি ধন,
কী করবে তা কও।
দিতে চাও তো দিয়ো আমায়,
নিতে চাও তো লও।
দুঃখ আমার ঘরের জিনিস,
খাঁটি রতন তুই তো চিনিস-
তোর প্রসাদ দিয়ে তারে কিনিস
এ মোর অহংকার।
উপনন্দ। সুরসেন।
সন্ন্যাসী। সুরসেন! বীণাচার্য!
উপনন্দ। হাঁ ঠাকুর, তুমি তাঁকে জানতে?
সন্ন্যাসী। আমি তাঁর বীণা শুনব আশা করেই এখানে এসেছিলেম।
উপনন্দ। তাঁর কি এত খ্যাতি ছিল?
ঠাকুরদাদা। তিনি কি এতবড়ো গুণী? তুমি তাঁর বাজনা শোনবার জন্যেই এ দেশে এসেছ? তবে তো আমরা তাঁকে চিনি নি!
সন্ন্যাসী। এখানকার রাজা?
ঠাকুরদাদা। এখানকার রাজা তো কোনোদিন তাঁকে ডাকেন নি, চক্ষেও দেখেন নি। তুমি তাঁর বীণা কোথায় শুনলে?
সন্ন্যাসী। তোমরা হয়তো জান না, বিজয়াদিত্য বলে একজন রাজা—
ঠাকুরদাদা। বল কী ঠাকুর! আমরা অত্যন্ত মুর্খ, গ্রাম্য, তাই বলে বিজয়াদিত্যের নাম জানব না এও কি হয়? তিনি যে আমাদের চক্রবর্তী সম্রাট।
সন্ন্যাসী। তা হবে। তা, সেই লোকটির সভায় একদিন সুরসেন বীণা বাজিয়েছিলেন, তখন শুনেছিলেম। রাজা তাঁকে