নাহি ক্ষোভ,
নাহি লাফ,
নাহি ঝাঁপ।
রাজপুত্র। নাই রইল, তবু একটা নালিশ থাকা চাই তো। তাই নিয়েই তো দুই পক্ষে লড়াই।
ছক্কা।
সেইমতে মানি,
কে তোমার শত্রু, কে তোমার মিত্র,
কে তোমার টক্কা, কে তোমার ফক্কা।
পঞ্জা। ওহে বিদেশী, শাস্ত্রমতে তোমাদেরও তো একটা উৎপত্তি ঘটেছিল?
সদাগর। নিশ্চিত। পিতামহ ব্রহ্মা সৃষ্টির গোড়াতেই সূর্যকে সেই শানে চড়িয়েছেন অমনি তাঁর নাকের মধ্যে ঢুকে পড়ল একটা আগুনের স্ফুলিঙ্গ। তিনি কামানের মতো আওয়াজ ক’রে হেঁচে ফেললেন— সেই বিশ্ব-কাঁপানি হাঁচি থেকেই আমাদের উৎপত্তি।
ছক্কা। এখন বোঝা গেল! তাই এত চঞ্চল!
রাজপুত্র। স্থির থাকতে পারি নে, ছিটকে ছিটকে পড়ি।
পঞ্জা। সেটা তো ভালো নয়।
সদাগর। কে বলছে ভালো। আদিযুগের সেই হাঁচির তাড়া আজও সামলাতে পারছি নে।
ছক্কা। একটা ভালো ফল দেখতে পাচ্ছি— এই হাঁচির তাড়ায় তোমরা সকাল-সকাল এই দ্বীপ থেকে ছিটকে পড়বে, টিঁকতে পারবে না।
সদাগর। টেঁকা শক্ত।
পঞ্জা। তোমাদের যুদ্ধটা কী ধরনের।
সদাগর। সেটা দুই দুই পক্ষের চার-চার জোড়া হাঁচির মাপে।
ছক্কা। হাঁচির মাপে? বাস্ রে, তা হলে মাথা ঠেকাঠুকি হবে তো!
সদাগর। হাঁ, একেবারে দমাদ্দম।
ছক্কা। তোমাদেরও আদিকবির মন্ত্র আছে তো?
সদাগর। আছে বৈকি।
হাঁচ্ছোঃ,
ভয় কী দেখাচ্ছ।
ধরি টিপে টুঁটি,
মুখে মারি মুঠি,
বলো দেখি কী আরাম পাচ্ছ॥