প্রথম দর্ভক। গোঁসাই, এই-সব তোমার জন্যে এনেছি। কেতনের মাসি পরশু পিঠে তৈরি করেছিল, তার কিছু বাকি আছে—
উপাচার্য। আরে আরে, সর্বনাশ করলে রে! করিস কী! উনি যে আমাদের গুরু।
দ্বিতীয় দর্ভক। তোমাদের গুরু আবার কোথায়? এ তো আমাদের গোঁসাই।
দাদাঠাকুর। দে ভাই, আর কিছু এনেছিস?
দ্বিতীয় দর্ভক। হাঁ, জাম এনেছি।
তৃতীয় দর্ভক। কিছু দই এনেছি।
দাদাঠাকুর। সব এখানে রাখ্। এসো ভাই পঞ্চক, এসো আচার্য অদীনপুণ্য-নূতন আচার্য আর পুরাতন আচার্য এসো, এদের ভক্তির উপহার ভাগ করে নিয়ে আজকের দিনটাকে সার্থক করি।
সকলে। গুরু!
দাদাঠাকুর। এসো বাছা, তোমরা এসো।
প্রথম বালক। কখন আমরা বের হব?
দাদাঠাকুর। আর দেরি নেই —এখনই বের হতে হবে।
দ্বিতীয় বালক। এখন কী করব?
দাদাঠাকুর। এই যে তোমাদের ভোগ তৈরি হয়েছে।
প্রথম বালক। ও ভাই, এই যে জাম—কী মজা।
দ্বিতীয় বালক। ওরে ভাই, খেজুর—কী মজা।
তৃতীয় বালক। গুরু, এতে কোনো পাপ নেই?
দাদাঠাকুর। কিছু না—পূণ্য আছে।
প্রথম বালক। সকলের সঙ্গে এইখানে বসে খাব?
দাদাঠাকুর। হাঁ এইখানেই।
প্রথম শোণপাংশু। দাদাঠাকুর।
দ্বিতীয় শোণপাংশু। আর তো পারি নে। দেয়াল তো একটাও বাকি রাখি নি। এখন কী করব? বসে বসে পা ধরে গেল যে।
দাদাঠাকুর। ভয় নেই রে। শুধু শুধু বসিয়ে রাখব না। তোদের কাজ দেব।
সকলে। কী কাজ দেবে?
দাদাঠাকুর। আমাদের পঞ্চকদাদার সঙ্গে মিলে ভাঙা ভিতের উপর আবার গাঁথতে লেগে যেতে হবে।
সকলে। বেশ, বেশ, রাজি আছি।
দাদাঠাকুর। ওই ভিতের উপর কাল যুদ্ধের রাত্রে স্থবিরকের রক্তের সঙ্গে শোণপাংশুর রক্ত মিলে গিয়েছে।