প্রগল্ ভ জনতা যত দেয় পুরস্কার
তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ দান নিভৃতে নীরব বিধাতার।
মন্দগতি গেছে কত দিন
মন্থর দৈন্যের ভারে কৃচ্ছশীর্ণ বিশ্রামবিহীন।
অকরুণ সংসারের দুঃখ তাপ শোক
যাত্রাপথে ছায়াছন্ন করেছে আলোকে
বারংবার,
অকারণ প্রতিকূলতার
পেয়েছ আঘাত
অকস্মাৎ;
দুর্যোগের কুটিল ভ্রূকুটি ক্ষনে ক্ষনে
অবসাদে ঘনায়েছে কর্মের লগনে।
ভাগ্যের করুণা কাজ করে
নির্মম ঔদাস্যবেশে আকাঙ্খার দূর অগোচরে,
বিধাতার প্রত্যাশিত বর
প্রতিক্ষণে সেবা চাহে, দেয় শুদ্ধ সন্দিগ্ধ উত্তর!
সফল ভাবীর জাগরণ
ভূমিগর্ভে গুপ্ত থাকে, বাহিরের আকাশে যখন
আশা আর নৈরাশ্যের উদবিগ্ন পর্যায়
খর রৌদ্রে কভু শাপ দেয়,
আশা দেয় মেঘের সংকেতে।
অবশেষে অঙ্কুরের দেখা মেলে কৃষিদীর্ন ক্ষেতে,
প্রসন্ন অঘ্রানে
সোনার আশ্বাস লাগে ধানে।
পৌঢ় সেই শরতের সফল দিনের জয়ধ্বনি
অন্তর-আকাশ তব ভরুক আপনি
উর্ধ্ব হতে
আনন্দের স্রোতে।
সম্পূর্ণ করিবে তার বন্ধুদের বাহিরের দান
স্নেহের সন্মান।
বিদায় প্রহরে রবি দিনান্তের অস্তনত করে
রেখে যাবে আর্শীবাদ তোমার ত্যাগের ক্ষেত্র-'পরে॥