অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহো নমস্কার।
হে বন্ধু, হে দেশবন্ধু, স্বদেশ-আত্মার
বাণীমূর্তি তুমি। তোমা লাগি নহে মান,
নহে ধন, নহে সুখ, কোনো ক্ষুদ্র দান
চাহ নাই কোনো ক্ষুদ্র কৃপা; ভিক্ষা লাগি
বাড়াও নি আতুর অঞ্জলি। আছ জাগি
পরিপূণর্তার তরে সর্ববাধাহীন —
যার লাগি নরদেব চিররাত্রিদিন
তপোমগ্ন, যার লাগি কবি বজ্ররবে
গেয়েছেন মহাগীত, মহাবীর সবে
গিয়াছেন সংকটযাত্রায়, যার কাছে
আরাম লজ্জিত শির নত করিয়াছে,
মৃত্যু ভুলিয়াছে ভয় —সেই বিধাতার
শ্রেষ্ঠ দান আপনার পূর্ণ অধিকার
চেয়েছ দেশের হয়ে অকুণ্ঠ আশায়
সত্যের গৌরবদৃপ্ত প্রদীপ্ত ভাষায়
অখন্ড বিশ্বাসে। তোমার প্রাথর্না আজি
বিধাতা কি শুনেছেন? তাই উঠে বাজি
জয়শঙ্খ তাঁর? তোমার দক্ষিণকরে
তাই কি দিলেন আজি কঠোর আদরে
দুঃখের দারুন দীপ, আলোক যাহার
জ্বালিয়াছে বিদ্ধ করি দেশের আঁধার
ধ্রুবতারকার মতো? জয় তব জয়!
কে আজি ফেলিবে অশ্রু, কে করিবে ভয় —
সত্যেরে করিবে খর্ব কোন্ কাপুরুষ
নিজেরে করিতে রক্ষা! কোন্ অমানুষ
তোমার বেদনা হতে না পাইবে বল!
মোছ্ রে দুর্বল চক্ষু, মোছ্ অশ্রুজল॥