সামান্য ক্ষতি
কাশীর রাজমহিষী যখন সামান্য এক ঘণ্টার কৌতুকে গরিব প্রজাদের কুটিরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি অনুভব করতে পারেন নি ক্ষতিটা কতখানি। তার কারণ, তারা ওঁর কাছে এত ক্ষুদ্র যে ওদের ক্ষতিলাভকে নিজের ক্ষতিলাভের সঙ্গে এক মাপকাঠিতে মাপা তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না। সামান্য ব্যক্তির সত্যকার দুঃখ ও রানীর দুঃখের পরিমাণ যে একই এইটি বুঝিয়ে দেবার জন্যে রাজা কী উপায় অবলম্বন করেছিলেন।
বঙ্গলক্ষী
এই কবিতা বাংলাদেশের মাতৃস্বরূপিণী মূর্তির বর্ণনা। মাতা আপন সন্তানের অযোগ্যতা ক্ষমা ক’রেও অকুণ্ঠিতভাবে ক্ষমাপূর্ণ কল্যাণ বিতরণ করেন, সেই মাতৃধর্ম বঙ্গপ্রকৃতির সঙ্গে কী রকম মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রকাশ ক’রে লেখো।
মূল্যপ্রাপ্তি
স্পর্শমণি কবিতার মধ্যে যে অর্থ পাওয়া গেছে এই কবিতার মধ্যেও সেই অর্থটি আর এক আকারে প্রকাশ পেয়েছে।
অকালে যে পদ্মটি ফুটেছিল সেইটি বুদ্ধদেবকে পুজোপহার দেবার জন্যে যখন দুই ক্রয়েচ্ছুক ভক্তের আগ্রহে তার মূল্য ক্রমশই বেড়ে চলেছিল তখন মালীর মনে হোলো, যাঁর জন্যে এই প্রতিযোগিতা, স্বয়ং তাঁর কাছে এই পদ্মটি নিয়ে গেলে না জানি কত স্বর্ণমুদ্রাই পাওয়া যাবে। ভগবান বুদ্ধের কাছে যাবামাত্র তার মনে মূল্যের স্বভাব কী রকম বদলে গেল। কেন গেল। সনাতনের কবিতাটি স্মরণ ক’রে সেটি বুঝিয়ে দাও।
মধ্যাহ্ন
মধ্যাহ্নে পল্লীপ্রকৃতির বিচিত্র বর্ণ গন্ধ শব্দ ও চঞ্চলতার সঙ্গে কবিচিত্তের একাত্মকতা এই কবিতার বর্ণনীয় বিষয়। সেটি গদ্য ভাষায় লেখো।
ছোটোনাগপুর
এ লেখাকে ঠিক-মতো ভ্রমণবৃত্তান্ত বলা চলে না, কেননা এতে নূতন-পরিচিত স্থান সম্বন্ধে কোনো খবর দেওয়া হয় নি, কেবল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর পর ছবি দেওয়া হয়েছে। এই ছবিতে দেখা যায় বাংলাদেশের দৃশ্যের সঙ্গে এর তফাৎ। বাংলাদেশে তোমাদের পরিচিত কোনো পল্লীর ভিতর দিয়ে গোরুর গাড়িতে ক’রে যাত্রা এমন ভাবে বর্ণনা করো যাতে এই লেখার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
অসম্ভব কথা
এই গল্পটার মানে একটু ভেবে দেখা যাক। মানুষ চিরকাল গল্প শুনে আসছে, কত রূপকথা, কত কাব্যকথা, তার সংখ্যা নেই। এ রকম প্রশ্ন তার মনে যদি প্রবল হোত যে ঠিক এ রকম ঘটনাটি সংসারে ঘটে কি না, তবে সাহিত্যের বড়ো বড়ো