মাঝখানে বাধা ঘটল কিসের। মিনির বিবাহ-দিনে জেল-ফেরৎ রহমতের উপস্থিতিতে মিনির বাপের অপ্রসন্নতা কেমন ক’রে মিলিয়ে গেল, কী মনে হোলো তাঁর। গল্পের শেষ ভাগে কী বেদনা জেগে উঠল কাবুলীর মনে।
সমস্ত গল্পের মর্মকথাটা কী।
বাগান
বাড়ির চারিদিকে একখানি বাগান তৈরি ক’রে তোলা যে বিলাসিতার আড়ম্বর নয়, চরিত্রগঠনের পক্ষে তার যে একটা প্রয়োজন আছে, তার প্রতি অবহেলায় নিজেকে এবং অন্য সকলকে অসম্মান করা হয় সে কথা বুঝিয়ে বলো।
বিদ্যাসাগরের ছাত্রজীবন এই লেখায় বিদ্যাসাগরের চরিত্রের যে যে বিশেষত্বের কথা পড়েছ তার উল্লেখ ক’রে লেখো।
সাক্ষী
সহজ ক’রে সরল ভাষায় এই গল্পটি লেখো। এই কথাটি মনে রেখো যে ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে কেবল যে রামকানাইয়ের শাস্তি হোলো তা নয়, তাঁর নিজের সাধুতার খ্যাতি হোলো না। বুদ্ধিমানেরা তাঁকে নির্বোধ ও চতুর লোকেরা তাঁকে দুর্বল ভীরুব’লে অবজ্ঞা করল, এতেই তাঁর চরিত্রগৌরব আপনার ভিতর থেকে যথার্থ মূল্য পেয়েছে।
ইংলন্ডের পল্লীগ্রাম
বাগান প্রবন্ধে যে তত্ত্বটি আছে এই প্রবন্ধে তারই দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়েছে। গরিব চাষী, কঠিন পরিশ্রমে তাকে দিন কাটাতে হয়, তবু সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে এসে বাসস্থানকে সুন্দর ক’রে তোলবার জন্যে এই যে উৎসাহ তাকে দেওয়া হয় ভেবে দেখতে গেলে এটা সমস্ত দেশের প্রতি কর্তব্যসাধন। দেশকে শ্রীসম্পন্ন ক’রে তোলবার দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক লোকের স্বীকার ক’রে নেওয়া উচিত। এই অধ্যাবসায়ের অভাবে দেশের পল্লীগ্রামের কী রকম দুরবস্থা তোমার অভিজ্ঞতা থেকে তার বর্ণনা করো।
জাহাজের খোল
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ স্বদেশের যে হিতসাধনায় নিজের সর্বস্ব ক্ষয় করেছিলেন এই লেখায় তারি কিঞ্চিৎ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই জাহাজ-চালানো অবলম্বন ক’রে অনেকে এমন ব্যবসায় ক’রে থাকেন যাতে তাঁদের অর্থলাভ হোতে পারে কিন্তু জ্যোতিরিন্দ্রের ব্যবসায় যে সিদ্ধি-লাভের অভিমুখে ছিল তা অর্থলাভের বিপরীত দিকে। তাঁর সেই দেউলে হওয়া অধ্যবসায়ের বিবরণ আপন ভাষায় লেখো। যে উৎসাহের উৎস তাঁর মনের মধ্যে অক্ষয় হয়ে ছিল ব’লে এত বড়ো ক্ষতির মধ্যে তাঁকে অবসাদগ্রস্ত করতে পারে নি সেইটিই এই প্রবন্ধের মূল কথা।
উদ্যোগশিক্ষা
দেহে ও মনে, জ্ঞানে ও কর্মে, মানুষকে সম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকতে হবে—তাকে শিক্ষাদান করার উদ্দেশ্য এই। পুঁথিগত বিদ্যায় আমরা এমন অভ্যস্ত যে এই সর্বাঙ্গীণ শিক্ষাকে আমরা অনায়াসে উপেক্ষা করি। চারি দিকের প্রতি আমাদের ঔৎসুক্য চ’লে গেছে। নানা প্রয়োজনের দাবি আমাদের চার দিকে অথচ মনের জড়ত্ববশত সে দাবি আপন বুদ্ধিতে মেটাবার প্রতি উৎসাহ নেই, বহুকেলে বাঁধা প্রণালীর প্রতি ভর দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকি। এ সম্বন্ধে শান্তিনিকেতন আশ্রমে লেখক যে সব ব্যর্থতার লক্ষণ দেখেছেন তারি উল্লেখ ক’রে প্রসঙ্গটির আলোচনা করো।
দেবীর বলি
এই গল্পাংশের মধ্যে যে কয়টি বর্ণনা আছে তাদের কী রকম ক’রে ফলিয়ে তোলা হয়েছে তা বুঝিয়ে বলবার চেষ্টা করো। প্রথমে জনশূন্য রাত্রি, দ্বিতীয় জয়সিংহের চরম আত্মনিবেদনের সংকল্প, তৃতীয় মন্দিরে রঘুপতির অপেক্ষা, চতুর্থ জয়সিংহের আত্মহনন।