পুষ্পোচ্ছ্বাসে ধায় সে বাণী স্বর্গলোকের কাছাকাছি
দিকে দিগন্তরে।
চন্দ্র সূর্য তারার আলো তারে বরণ করে।
এমনি করেই মাঝে মাঝে সোনার কাঠি আনে
— কভু প্রিয়ার মুগ্ধ চোখে, কভু কবির গানে—
অলস মনের শিয়রেতে কে সে অন্তর্যামী ;
নিবিড় সত্যে জেগে ওঠে সামান্য এই আমি।
যে আমিরে ধূসর ছায়ায় প্রতিদিনের ভিড়ের মধ্যে দেখা
সেই আমিরে এক নিমেষের আলোয় দেখি একের মধ্যে একা।
সে - সব নিমেষ রয় কি না রয় কোনোখানে,
কেউ তাহাদের জানে বা না - ই জানে,
তবু তারা জীবনে মোর দেয় তো আনি
ক্ষণে ক্ষণে পরম বাণী
অনন্তকাল যাহা বাজে
বিশ্বচরাচরের মর্মমাঝে
‘ আছি আমি আছি ' —
যে বাণীতে উঠে নাচি
মহাগগন - সভাঙ্গনে আলোক - অপ্সরী
তারার মাল্য পরি।
ছত্রিশ - সংখ্যক কবিতা তুলনীয়।
নব বরষার দিন
বিশ্বলক্ষ্মী তুমি আজ নবীন গৌরবে সমাসীন।
রিক্ত তপ্ত দিবসের নীরব প্রহরে
ধরণীর দৈন্য -' পরে
ছিলে তপস্যায় রত
রুদ্রের চরণতলে নত—