আমি আজ পৃথক্ হব।
ও থাক্ ওই খানে দ্বারের বাহিরে,
ওই বৃদ্ধ, ওই বুভুক্ষু।
ও ভিক্ষা করুক, ভোগ করুক,
তালি দিক্ বসে বসে
ওর ছেঁড়া চাদরখানাতে ;
জন্মমরণের মাঝখানটাতে
যে আল-বাঁধা খেতটুকু আছে
সেইখানে করুক উঞ্ছবৃত্তি।
আমি দেখব ওকে জানলায় ব ' সে,
ওই দূরপথের পথিককে,
দীর্ঘকাল ধরে যে এসেছে
বহু দেহমনের নানা পথের বাঁকে বাঁকে
মৃত্যুর নানা খেয়া পার হয়ে।
উপরের তলায় বসে দেখব ওকে
ওর নানা খেয়ালের আবেশে,
আশা-নৈরাশ্যের ওঠা-পড়ায় সুখদুঃখের আলো-আঁধারে।
দেখব যেমন করে পুতুলনাচ দেখে ;
হাসব মনে মনে।
মুক্ত আমি, স্বচ্ছ আমি, স্বতন্ত্র আমি,
নিত্যকালের আলো আমি,
সৃষ্টি-উৎসের আনন্দধারা আমি,
অকিঞ্চন আমি,
আমার কোনো কিছুই নেই
অহংকারের প্রাচীরে ঘেরা।