দুঃখ তাপের পরশটুকু জানব না —
তাই সুখের কোণে ছিলেম পড়ে আন্মনা।
আজ হঠাৎ ভীষণ বেশে
তুমি দাঁড়াও যদি এসে,
তোমার মত্ত চরণ ভরে
আমার যত্নে-গড়া শয়নখানি ধুলায় ভেঙে পড়ে
আমি তাই ব ' লে তো কপালে কর হানব না।
তুমি যেমন করে চেনাতে চাও তেমনি করে চিনিয়ে যাও
যে-দুঃখ দাও দুঃখ তারে জানব না।
তবে এসো হে মোর সুদুঃসহ ছিন্ন করে জীবন লহো
বাজিয়ে তোলো ঝঞ্ঝা-ঝড়ের ঝঞ্ঝনা,
আমায় দুঃখ হতে কোরো না আর বঞ্চনা।
আমার বুকের পাঁজর টুটে
উঠুক পূজার পদ্ম ফুটে ;
যেন প্রলয়-বায়ু-বেগে
আমার মর্মকোষের গন্ধ ছুটে বিশ্ব উঠে জেগে।
ওরে আয় রে ব্যথা সকল-বাধা-ভঞ্জনা।
আজ আঁধারে ওই শূন্য ব্যেপে কণ্ঠ আমার ফিরুক কেঁপে,
জাগিয়ে তোলো ঝঞ্ঝা-ঝড়ের ঝঞ্ঝনা।
বক্ষে বেজেছে বিদ্যুৎবাণ
স্বপ্নের জাল ছেদিয়া।
ভাবিতেছিলাম উঠি কি না উঠি,
অন্ধ তামস গেছে কিনা ছুটি,
রুদ্ধ নয়ন মেলি কি না মেলি
তন্দ্রা-জড়িমা মাজিয়া।
এমন সময়ে, ঈশান, তোমার