Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
বাল্মীকিপ্রতিভা - চতুর্থ দৃশ্য, ১৩
বাল্মীকিপ্রতিভা
প্রথম দস্যুর প্রবেশ
প্রথম দস্যু। প্রাণ নিয়ে তো সট্কেছি রে, করবি এখন কী!
ওরে বরা, করবি এখন কী!
বাবা রে,আমি চুপ করে এই কচুবনে লুকিয়ে থাকি।
এই মরদের মুরদখানা,দেখেও কি রে ভড়কালি না!
বাহবা, শাবাশ তোরে, শাবাশ রে তোর ভরসা দেখি।
বাবা রে,আমি চুপ করে এই কচুবনে লুকিয়ে থাকি।
এই মরদের মুরদখানা,দেখেও কি রে ভড়কালি না!
বাহবা, শাবাশ তোরে, শাবাশ রে তোর ভরসা দেখি।
খোঁড়াইতে খোঁড়াইতে
আর-একজন দস্যুর প্রবেশ
আর-একজন দস্যুর প্রবেশ
অন্য দস্যু। বলব কী আর বলব খুড়ো— উঁ উঁ।
আমার যা হয়েছে বলি কার কাছে—
একটা বুড়ো ছাগল তেড়ে এসে মেরেছে ঢুঁ।
একটা বুড়ো ছাগল তেড়ে এসে মেরেছে ঢুঁ।
প্রথম দস্যু। তখন যে ভারি ছিল জারিজুরি,
এখন কেন করছ বাপু উঁ উঁ উঁ—
কোন্খানে লেগেছে বাবা,দিই একটু ফুঁ।
কোন্খানে লেগেছে বাবা,দিই একটু ফুঁ।
দস্যুগণের প্রবেশ
দস্যুগণ। সর্দার মহাশয় দেরি না সয়—
তোমার আশায় সবাই বসে।
শিকারেতে হবে যেতে,
মিহি কোমর বাঁধো কষে।
বনবাদাড় সব ঘেঁটে ঘুঁটে,
আমরা মরব খেটে খুটে,
তুমি কেবল লুটে পুটে
পেট পোরাবে ঠেসে ঠুসে।
শিকারেতে হবে যেতে,
মিহি কোমর বাঁধো কষে।
বনবাদাড় সব ঘেঁটে ঘুঁটে,
আমরা মরব খেটে খুটে,
তুমি কেবল লুটে পুটে
পেট পোরাবে ঠেসে ঠুসে।
প্রথম দস্যু। কাজ কী খেয়ে, তোফা আছি—
আমায় কেউ না খেলেই বাঁচি—
শিকার করতে যায় কে মরতে,
ঢুঁসিয়ে দেবে বরা মোষে।
ঢুঁ খেয়ে তো পেট ভরে না—
সাধের পেটটি যাবে ফেঁসে।
শিকার করতে যায় কে মরতে,
ঢুঁসিয়ে দেবে বরা মোষে।
ঢুঁ খেয়ে তো পেট ভরে না—
সাধের পেটটি যাবে ফেঁসে।