কী আশা নিয়ে এসেছ হেথা উৎসবের দল।
অশোকতরুতল
অতিথি লাগি রাখে নি আয়োজন।
হায় সে নির্ধন
শুকানো গাছে আকাশে শাখা তুলি
কাঙালসম মেলেছে অঙ্গুলি ;
সুরসভার অপ্সরার চরণঘাত মাগি
রয়েছে বৃথা জাগি।
আরেকদিন এসেছ যবে সেদিন ফুলে ফুলে
যৌবনের তুফান দিল তুলে ।
দখিনবায়ে তরুণ ফাল্গুনে
শ্যামল বনবল্লভের পায়ের ধ্বনি শুনে
পল্লবের আসন দিল পাতি ;
মর্মরিত প্রলাপবাণী কহিল সারারাতি।
যেয়ো না ফিরে, একটু তবু রোসো,
নিভৃত তার প্রাঙ্গণেতে এসেছ যদি— বোসো।
ব্যাকুলতার নীরব আবেদনে
যে দিন গেছে সে দিনখানি জাগায়ে তোলো মনে।
যে দান মৃদু হেসে
কিশোর করে নিয়েছ তুলি, পরেছ কালো কেশে,
তাহারি ছবি স্মরিয়ো মোর শুকানো - শাখা - আগে
প্রভাতবেলা নবীনারুণরাগে।
সেদিনকার গানের থেকে চয়ন করি কথা
ভরিয়া তোলো আজি এ নীরবতা।