একদা বসন্তে মোর বনশাখে যবে
মুকুলে পল্লবে
উদ্বারিত আনন্দের আমন্ত্রণ
গন্ধে বর্ণে দিল ব্যাপি ফাল্গুনের পবন গগন,
সেদিন এসেছে যারা বীথিকায়—
কেহ এল কুণ্ঠিত দ্বিধায় ;
চটুল চরণ কারো তৃণে তৃণে বাঁকিয়া বাঁকিয়া
নির্দয় দলনচিহ্ন গিয়েছে আঁকিয়া
অসংকোচ নূপুরঝংকারে,
কটাক্ষের খরধারে
উচ্চহাস্য করেছে শাণিত ;
কেহ বা করেছে ম্লান অমানিত
অকারণ সংশয়েতে আপনারে
অবগুণ্ঠনের অন্ধকারে ;
কেহ তারা নিয়েছিল তুলি
গোপনে ছায়ায় ফিরি তরুতলে ঝরা ফুলগুলি ;
কেহ ছিন্ন করি
তুলেছিল মাধবীমঞ্জরী,
কিছু তার পথে পথে ফেলেছে ছড়ায়ে,
কিছু তার বেণীতে জড়ায়ে
অন্যমনে গেছে চলে গুন্গুন্ গানে।
আজি এ ঋতুর অবসানে
ছায়াঘন বীথি মোর নিস্তব্ধ নির্জন ;
মৌমাছির মধু - আহরণ
হল সারা ;
সমীরণ গন্ধহারা
তৃণে তৃণে ফেলিছে নিশ্বাস।
পাতার আড়াল ভরি একে একে পেতেছে প্রকাশ
অচঞ্চল ফলগুচ্ছ যত,