যেন রুদ্ধশ্বাস
চলিতে না পারে।
সিন্ধুর তরঙ্গধ্বনি অন্ধকারে
গুমরিয়া উঠিতেছে জনশূন্য বিশ্বের বিলাপে।
ভূমিকম্পে বনস্থলী কাঁপে ;
প্রচণ্ড নির্ঘোষে
বহু তরুভার বহি বহুদূর মাটি যায় ধ্বসে
গভীর পঙ্কের তলে।
সেদিনের অন্ধযুগে পীড়িত সে জলে স্থলে
তুমি তুলেছিলে মাথা।
বলিত বল্কলে তব গাঁথা
সে ভীষণ যুগের আভাস।
যেথা তব আদিবাস
সে অরণ্যে একদিন মানুষ পশিল যবে
দেখা দিয়েছিলে তুমি ভীতিরূপে তার অনুভবে।
হে তুমি অমিত - আয়ু, তোমার উদ্দেশে
স্তবগান করেছে সে।
বাঁকাচোরা শাখা তব কত কী সংকেতে
অন্ধকারে শঙ্কা রেখেছিল পেতে।
বিকৃত বিরূপ মূর্তি মনে মনে দেখেছিল তারা
তোমার দুর্গমে দিশাহারা।
আদিম সে আরণ্যক ভয়
রক্তে নিয়ে এসেছিনু আজিও সে কথা মনে হয়।
বটের জটিল মূল আঁকাবাঁকা নেমে গেছে জলে—
মসীকৃষ্ণ ছায়াতলে
দৃষ্টি মোর চলে যেত ভয়ের কৌতুকে,
দুরু দুরু বুকে
ফিরাতেম নয়ন তখনই।
যে মূর্তি দেখেছি সেথা, শুনেছি যে ধ্বনি