তুমি যে স্বর্গ ছেড়ে নামলে ধুলোয়
তোমার পরশ আমার পরশ
মিলবে ব'লে। '
সেই পিপুল - তলার অন্ধকারে
একা একা গাইছিল কীর্তনী,
আর আরেকজনা গোপনে —
বাজিরাও পেশোয়া।
শুনছিল সে —
‘তুমি আমায় ডাক দিয়েছ আগল - দেওয়া ঘরের থেকে,
আমায় নিয়ে পথের পথিক হবে।
ঘুচবে তোমার নির্বাসনের ব্যথা,
ছাড়া পাবে হৃদয় - মাঝে।
থাক্ গে ওরা পাথরখানা নিয়ে
পাথরের বন্দীশালায়
অহংকারের - কাঁটার - বেড়া - ঘেরা। '
রাত্রি প্রভাত হল।
শুকতারা অরুণ - আলোয় উদাসী।
তোরণদ্বারে বাজল বাঁশি বিভাসে ললিতে।
অভিষেকের স্নান হবে,
পুরোহিত এল তীর্থবারি নিয়ে।
রাজবাড়ির ঠাকুরঘর শূন্য।
জ্বলছে দীপশিখা,
পূজার উপচার পড়ে আছে —
বাজিরাও পেশোয়া গেছে চলে
পথের পথিক হয়ে।