Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
গীতিমাল্য- ১৪
১৪
অনেককালের যাত্রা আমার
অনেক দূরের পথে,
প্রথম বাহির হয়েছিলেম
প্রথম-আলোর রথে।
গ্রহে তারায় বেঁকে বেঁকে
পথের চিহ্ন এলেম এঁকে
কত যে লোক-লোকান্তরের
অরণ্যে পর্বতে।
সবার চেয়ে দূর।
বড়ো কঠিন সাধনা, যার
বড়ো সহজ সুর।
পরের দ্বারে ফিরে, শেষে
আসে পথিক আপন দেশে—
বাহির-ভুবন ঘুরে মেলে
অন্তরের ঠাকুর।
বলব আমি ব’লে
কত দিকেই চোখ ফেরালেম
কত পথেই চ’লে।
ভরিয়ে জগৎ লক্ষ ধারায়
“আছ-আছ”র স্রোত বহে যায়
“কই তুমি কই” এই কাঁদনের
নয়ন-জলে গলে।
অনেক দূরের পথে,
প্রথম বাহির হয়েছিলেম
প্রথম-আলোর রথে।
গ্রহে তারায় বেঁকে বেঁকে
পথের চিহ্ন এলেম এঁকে
কত যে লোক-লোকান্তরের
অরণ্যে পর্বতে।
সবার চেয়ে কাছে আসা
সবার চেয়ে দূর।
বড়ো কঠিন সাধনা, যার
বড়ো সহজ সুর।
পরের দ্বারে ফিরে, শেষে
আসে পথিক আপন দেশে—
বাহির-ভুবন ঘুরে মেলে
অন্তরের ঠাকুর।
“এই যে তুমি” এই কথাটি
বলব আমি ব’লে
কত দিকেই চোখ ফেরালেম
কত পথেই চ’লে।
ভরিয়ে জগৎ লক্ষ ধারায়
“আছ-আছ”র স্রোত বহে যায়
“কই তুমি কই” এই কাঁদনের
নয়ন-জলে গলে।