অসুস্থ শরীরখানা
কোন্ অবরুদ্ধ ভাষা করিছে বহন,
বাণীর ক্ষীণতা
মুহ্যমান আলোকেতে রচিতেছে অস্পষ্টের কারা।
নির্ঝর যখন ছোটে পরিপূর্ণ বেগে
বহুদূর দুর্গমেরে করিবারে জয় —
গর্জন তাহার
অস্বীকার করি চলে গুহার সংকীর্ণ আত্মীয়তা,
ঘোষণা করিতে থাকে নিখিল বিশ্বের অধিকার।
বলহারা ধারা তার মৃদু হয় যবে
বৈশাখের শীর্ণ শুষ্কতায় —
হারায় আপন মন্দ্রধ্বনি,
কৃশতম হয়ে আসে আপনার কাছে
আপনার পরিচয়।
খণ্ড খণ্ড কুণ্ড-মাঝে
ক্লান্ত তার গতিস্রোত লীন হয়ে থাকে।
তেমনি আমার রুগ্ণ বাণী
স্পর্ধা হারায়েছে তার,
শক্তি নাই জীবনের সঞ্চিত গ্লানিরে
ধিক্কার দিবার।
আত্মগত ক্লিষ্ট জীবনের কুহেলিকা
তাহার বিশ্বের দৃষ্টি করিছে হরণ।
হে প্রভাতসূর্য,
আপনার শুভ্রতম রূপ
তোমার জ্যোতির কেন্দ্রে হেরিব উজ্জ্বল,
প্রভাতধ্যানেরে মোর সেই শক্তি দিয়ে
করো আলোকিত ;
দুর্বল প্রাণের দৈন্য
হিরণ্ময় ঐশ্বর্যে তোমার
দূর করি দাও,
পরাভূত রজনীর অপমান-সহ।