আগাগোড়া সত্যহীন।
ওরা সব-কটা
বানানো কথার ঘটা,
সদরেতে যত বড়ো অন্দরেতে ততখানি ফাঁকি।
জানি না কি —
দূর হতে নিরামিষ সাত্ত্বিক মৃগয়া,
নাই পুরুষের হাড়ে অমায়িক বিশুদ্ধ এ দয়া। ”
আমি শুধালেম, “ আর, তোমাদের?”
সে কহিল, “ আমাদের চারি দিকে শক্ত আছে ঘের
পরশ-বাঁচানো,
সে তুমি নিশ্চিত জান। ”
আমি শুধালেম, “ তার মানে?”
সে কহিল, “ আমরা পুষি না মোহ প্রাণে,
কেবল বিশুদ্ধ ভালোবাসি। ”
কহিলাম হাসি,
“ আমি যাহা বলেছিনু সে কথাটা সমস্ত বড়ো বটে,
কিন্তু তবু লাগে না সে তোমার এ স্পর্ধার নিকটে।
মোহ কি কিছুই নেই রমণীর প্রেমে। ”
সে কহিল একটুকু থেমে,
“ নেই বলিলেই হয়। এ কথা নিশ্চিত —
জোর করে বলিবই —
আমরা কাঙাল কভু নই। ”
আমি কহিলাম, “ ভদ্রে, তা হলে তো পুরুষের জিত। ”
“ কেন শুনি ”
মাথাটা ঝাঁকিয়ে দিয়ে বলিল তরুণী।
আমি কহিলাম, “ যদি প্রেম হয় অমৃতকলস,
মোহ তবে রসনার রস।
সে সুধার পূর্ণ স্বাদ থেকে
মোহহীন রমণীরে প্রবঞ্চিত বলো করেছে কে।
আনন্দিত হই দেখে তোমার লাবণ্যভরা কায়া,
তাহার তো বারো-আনা আমারি অন্তরবাসী মায়া।
প্রেম আর মোহে