Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (http://rabindra-rachanabali.nltr.org)
স্ফুলিঙ্গ- ৩৭
স্ফুলিঙ্গ
জানিবে না কেও,
তাই থাকে চরম পাথেয়।
তৃণে তৃণে উষা সাজালো শিশিরকণা।
যারে নিবেদিল তাহারি পিপাসী কিরণে
নিঃশেষ হল রবি-অভ্যর্থনা।
সূর্যমুখীর ফুলে।
তৃপ্তি না পায়, মুছে ফেলে তায়—
আবার ফুটায়ে তুলে।
সুন্দর পরিমলে।
সন্ধ্যাবেলায় হোক সে ধন্য
মধুরসে-ভরা ফলে।
শুভ্রতম তেজে,
পৃথিবীতে নামে সেই নানা রূপে রূপে
নানা বর্ণে সেজে।
তাই থাকে চরম পাথেয়।
১৩৯
প্রথম আলোর আভাস লাগিল গগনে;
তৃণে তৃণে উষা সাজালো শিশিরকণা।
যারে নিবেদিল তাহারি পিপাসী কিরণে
নিঃশেষ হল রবি-অভ্যর্থনা।
১৪০
প্রভাতরবির ছবি আঁকে ধরা
সূর্যমুখীর ফুলে।
তৃপ্তি না পায়, মুছে ফেলে তায়—
আবার ফুটায়ে তুলে।
১৪১
প্রভাতের ফুল ফুটিয়া উঠুক
সুন্দর পরিমলে।
সন্ধ্যাবেলায় হোক সে ধন্য
মধুরসে-ভরা ফলে।
১৪২
প্রেমের আদিম জ্যোতি আকাশে সঞ্চরে
শুভ্রতম তেজে,
পৃথিবীতে নামে সেই নানা রূপে রূপে
নানা বর্ণে সেজে।