ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে।
ঘরের মেঝেতে ফিকে নীল রঙের জাজিম পাতা
খয়েরিরঙের-ফুল-কাটা।
দেয়াল বসন্তী রঙের,
তাতে ঘন কালো রেখার পাড়।
একটুখানি বারান্দা পুবের দিকে,
সেইখানে বসি সূর্যোদয়ের আগেই।
একটি মানুষ পেয়েছি
তার গলায় সুর ওঠে ঝলক দিয়ে,
নটীর কঙ্কণে আলোর মতো।
পাশের কুটিরে সে থাকে,
তার চালে উঠেছে ঝুম্কোলতা।
আপন মনে সে গায় যখন
তখনি পাই শুনতে —
গাইতে বলি নে তাকে।
স্বামীটি তার লোক ভালো —
আমার লেখা ভালোবাসে, ঠাট্টা করলে
যথাস্থানে যথোচিত হাসতে জানে,
খুব সাধারণ কথা সহজেই পারে কইতে,
আবার হঠাৎ কোনো-একদিন আলাপ করে
— লোকে যাকে চোখ টিপে বলে কবিত্ব —
রাত্রি এগারোটার সময় শালবনে
ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে।
বাড়ির পিছন দিকটাতে
শাক-সবজির খেত।
বিঘে-দুয়েক জমিতে হয় ধান।
আর আছে আম-কাঁঠালের বাগিচা
আস্শেওড়ার-বেড়া - দেওয়া।
সকালবেলায় আমার প্রতিবেশিনী
গুন্ গুন্ গাইতে গাইতে মাখন তোলে দই থেকে,