তৃপ্তিহীন
একই লিপি পড় ফিরে ফিরে?
প্রত্যুষে গোপনে ধীরে ধীরে
আঁধারের খুলিয়া পেটিকা,
স্বর্ণবর্ণে লিখা
প্রভাতের মর্মবাণী
বক্ষে টেনে আনি
গুঞ্জরিয়া কত সুরে আবৃত্তি কর যে মুগ্ধমনে।
বহুযুগ হয়ে গেল কোন্ শুভক্ষণে
বাষ্পের গুণ্ঠনখানি প্রথম পড়িল যবে খুলে,
আকাশে চাহিলে মুখ তুলে।
অমর
জ্যোতির মূর্তি দেখা দিল আঁখির সম্মুখে।
রোমাঞ্চিত বুকে
পরম বিস্ময় তব জাগিল তখনি।
নিঃশব্দ বরণ-মন্ত্রধ্বনি
উচ্ছ্বসিল পর্বতের শিখরে শিখরে।
কলোল্লাসে উদ্ঘোষিল নৃত্যমত্ত সাগরে সাগরে
‘জয়, জয়, জয়।’
ঝঞ্ঝা তার বন্ধ টুটে ছুটে ছুটে কয়
‘জাগো রে, জাগো রে’
বনে বনান্তরে।
প্রথম সে দর্শনের অসীম বিস্ময়
এখনো
যে কাঁপে বক্ষোময়।
তলে তলে আন্দোলিয়া উঠে তব ধূলি,
তৃণে তৃণে কণ্ঠ তুলি
ঊর্ধ্বে চেয়ে কয়—
‘জয়, জয়, জয়।’
সে বিস্ময় পুষ্পে পর্ণে গন্ধে বর্ণে ফেটে ফেটে পড়ে;