রোদবাদলে করুণ কান্না হাসি।
সদাই ওঠে আভাসি উচ্ছ্বাসি।
ওই - যে শিশুর অবুঝ ভোলা মন
তরীর কোণে বসে বসে দেখছি তারই আকুল আন্দোলন।
মাঝে-মাঝে সাগর-পানে তাকিয়ে দেখি যত
মনে ভাবি, ও যেন এই শিশু-আঁখির মতো,
আকাশ-পানে আবছায়া ওর চাওয়া
কোন্ স্বপনে-পাওয়া,
অন্তরে ওর যেন সে কোন্ অবুঝ ভোলা মন
এ তীর হতে ও তীর-পানে দুলছে অনুক্ষণ।
কেমন কলভাষে
প্রলয়কাঁদন কাঁদে ও যে প্রবল হাসি হাসে
আপ্নিও তার অর্থ আছে ভুলে —
ক্ষণে ক্ষণে শুধুই ফুলে ফুলে
অকারণে গর্জি উঠে শূন্যে শূন্যে মূঢ় বাহু তুলে।
বিরাট অবুঝ এই সে আদিম মন,
মানব-ইতিহাসের মাঝে আপ্নারে তার অধীর অন্বেষণ।
ঘর হতে ধায় আঙন-পানে, আঙন হতে পথে,
পথ হতে ধায় তেপান্তরের বিঘ্নবিষম অরণ্যে পর্বতে ;
এই সে গড়ে, এই সে ভাঙে, এই সে কী আক্ষেপে
পায়ের তলায় ধরণীতে আঘাত করে ধুলায় আকাশ ব্যেপে ;
হঠাৎ খেপে উঠে
রুদ্ধ পাষাণভিত্তি- ' পরে বেড়ায় মাথা কুটে।
অনাসৃষ্টি সৃষ্টি আপনগড়া
তাই নিয়ে সে লড়াই করে, তাই নিয়ে তার কেবল ওঠাপড়া।
হঠাৎ উঠে ঝেঁকে
যায় সে ছুটে কী রাঙা রঙ দেখে
অদৃশ্য কোন্ দূর দিগন্ত-পানে ;
আবছায়া কোন্ সন্ধ্যা-আলোয় শিশুর মতো তাকায় অনুমানে,
তাহার ব্যাকুলতা
স্বপ্নে সত্যে মিশিয়ে রচে বিচিত্র রূপকথা।