তার ছড়া আর আমার ছড়ায় আর কতখন চলবে রেষারেষি,
হার মানতে হবেই শেষাশেষি।
অমি বললে, ‘ দুষ্টু ছেলে। ' নন্দ বললে, ‘ তোমার সঙ্গে আড়ি —
নিয়ে যাব গাড়ি,
দিন্দাদাকে ডাকব ছাতে ইস্টিশনের খেলায়,
গড়গড়িয়ে যাবে গাড়ি বদ্দিবাটির মেলায়। '
এই বলে সে ছল্ছলানি চোখে
গাড়ি নিয়ে দৌড়ে গেল কোন্ দিকে কোন্ ঝোঁকে।
আমি বললেম, ‘ যাও অমিয়, আজকে পড়া থাক্,
নন্দগোপাল এনেছে তার নতুনকালের ডাক।
আমার ছন্দে কান দিল না ও যে
কী মানে তার আমিই বুঝি আর যারা নাই বোঝে।
যে-কবির ও শুনবে পড়া সেও তো আজ খেলার গাড়ি ঠেলে,
ইস্টিশনের খেলাই সেও খেলে।
আমার মেলা ভাঙবে যখন দেব খেয়ায় পাড়ি,
তার মেলাতে পৌঁছবে তার গাড়ি,
আমার পড়ার মাঝে
তারি আসার ঘণ্টা যদি বাজে
সহজ মনে পারি যেন আসর ছেড়ে দিতে
নতুন কালের বাঁশিটিরে নতুন প্রাণের গীতে।
ভরেছিলেম এই ফাগুনের ডালা
তা নিয়ে কেউ নাই-বা গাঁথুক আর-ফাগুনের মালা। '
বছর বিশেক চলে গেল সাঙ্গ তখন ঠেলাগাড়ির খেলা ;
নন্দ বললে, ‘ দাদামশায়, কী লিখেছ শোনাও তো এইবেলা! '
পড়তে গেলেম ভরসাতে বুক বেঁধে,
কণ্ঠ যে যায় বেধে ;