মুখরিত অধীর আনন্দে।
অম্বরপ্রাঙ্গনমাঝে
নিঃস্বর মঞ্জীর গুঞ্জে।
অশ্রুত সেই তালে বাজে
করতালি পল্লবপুঞ্জে।
কার পদপরশন-আশা
তৃণে তৃণে অর্পিল ভাষা,
সমীরণ বন্ধনহারা
উন্মন কোন্ বনগন্ধে॥
বীণা থামল। মহিষী থমকে দাঁড়াল।
রাজা বললে, “ভয় কোরো না,প্রিয়ে,ভয় কোরো না।”
গলার স্বর জলে-ভরা মেঘের দূর দুরুদুরু ধ্বনির মতো।
“কিছু ভয় নেই আমার, জয় হল তোমারই।”
এই বলে মহিষী আঁচলের আড়াল থেকে প্রদীপ বের করলে। ধীরে ধীরে তুলে ধরলে রাজার মুখের কাছে।
কণ্ঠ দিয়ে কথা বেরোতে চায় না। পলক পড়ে না চোখে। বলে উঠল,“প্রভু আমার,প্রিয় আমার, এ কী সুন্দর রূপ তোমার!”
বড়ো বিস্ময় লাগে হেরি তোমারে।
কোথা হতে এলে তুমি হৃদিমাঝারে।
ওই মুখ ওই হাসি কেন এত ভালোবাসি,
কেন গো নীরবে ভাসি অশ্রুধারে।
তোমারে হেরিয়া যেন জাগে স্মরণে,
তুমি চিরপুরাতন চিরজীবনে।
তুমি না দাঁড়ালে আসি হৃদয়ে বাজে না বাঁশি,
এই আলো এই হাসি ডুবে আঁধারে॥